কুষ্টিয়া প্রতিবেদক:
করোনা এখন মহামারী। প্রতিমুহূর্তে এটি ভয়াল রূপ ধারণ করছে বাংলাদেশসহ বাহিরে দেশগুলোতে। দেশে প্রতিদিন শত শত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে মারা যাচ্ছে। তবু মানছেন মানুষের টনক নড়ছে না। নিয়ম না মেনে জনসমাগমে যাচ্ছে নিজেও করছে এই বাড়ি ও বাড়ি যাচ্ছে। কোন না কোন অজুহাত দেখিয়ে তারা বাহিরে বের হচ্ছে। প্রশাসন ধরলে কোন না কোন মিথ্যা বলে চলে যাচ্ছে। অথচ ঘটনা থেকে বাঁচতে বর্তমানে সবার জন্য সামাজিক দূরত্ব থাকাটা বেশি জরুরী। কি করবে প্রশাসন।
পুলিশ প্রশাসনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান নির্দেশনা পাওয়ার পর পরই কুষ্টিয়া শহরে তারা তৎপর হন। সড়কটিতে চেকপোস্ট বসানো হয়। ২৪ ঘন্টায় তাদের চেকপোস্টের কার্যক্রম চলে।একমাত্র জরুরি সেবার পরিবহন ছাড়া আর কোন পরিবহন বা মানুষকে যাতায়াত করতে দেয়া হয় না। কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা অসচেতনভাবে বাসা থেকে বের হয়ে ঘোরাঘুরি করে।তাদের প্রশ্ন করা হলে কোন না কোন মিথ্যার আশ্রয় দিয়ে তাদের কাছ থেকে বেঁচে যায়।
তিনি আরো বলেন তিনি নিজে মাইক হাতে মানুষকে সচেতন করেছেন এই শহরের একাধিকবার।
কিন্তু জনগণ কোথায় কানে তোলেনি তিনি জানান।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা দুঃখ করে বলেন তার তারা তাদের পরিবার-পরিজনের কথা চিন্তা না করে দেশের মানুষের জন্য নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার দায়িত্বপালনকালে দেখেছি অনেকেই যেন আমাদের সঙ্গে মজা করে। বিভিন্ন সময় গুজব ছড়ায় এবং যেখানে সেখানে মানুষ জনসমাগম করছে। আমরা এখন কোন জায়গায় অপারেশন গেলে মানুষ আমাদের দেখতে চলে আসে তারা একবারও ভাবে না তাদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। মানুষকে আর কত সচেতন হতে হবে।
এদিকে প্রশাসনের সঙ্গে মনে হয় লুকোচুরি খেলছেন মানুষ। পুলিশ একদিকে টহল দিলে মানুষ অন্যদিকে সোনা জনসমাগম করে।আবার পুলিশ দেখলেই সামাজিক দূরত্বের গুরুত্ব আছে পুলিশ না থাকলে এর কোন বালাই নেই।কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ওবায়দুর রহমান বলেন মানুষ মাস থেকেই আসতে হবে এই সচেতনতা। তা না হলে এটি সফল করা সম্ভব নয়। (সূত্রঃ দৈনিক কুষ্টিয়া)