কুষ্টিয়া প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহতে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি। রবীন্দ্রনাথ তাঁর সাহিত্যকর্ম আর লেখনীতে এই কুঠিবাড়িকে বার বার তুলে ধরেছেন। এখানে বসেই তিনি রচনা করেন তার বিখ্যাত গ্রন্থ সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালী, নোবেলজয়ী গ্রন্থ গীতাঞ্জলিসহ অসংখ্য গান এবং কবিতা। জমিদারী দেখাশুনার দায়িত্ব নিয়ে এই শিলাইদহে তাঁর জীবনের অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়েছে। এই সময়ের নানা স্মৃতি এখনো কুঠিবাড়ির আঙ্গিনায় খুঁেজ ফেরেন রবীন্দ্র ভক্তরা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বহুদিন ধরেই জনসমাগম নিষিদ্ধ। তাই প্রতিবছর যেভাবে আয়োজন করে উদ্যাপন করা হতো বিশ্বকবির জন্মদিন, এ বছর সেভাবে হচ্ছে না।
রবীন্দ্রনাথের রচনাসম্ভার বিপুল, বৈচিত্র্যময়। সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই ছিল তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। বিস্ময়কর সৃজনী প্রতিভা দিয়ে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা সাহিত্যকে। তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, নাটক, সংগীত, শিশুতোষ রচনা বাংলা সাহিত্যের অমর সংযোজন। স্বকীয় নান্দনিক ভাবনায় তিনি সমৃদ্ধ করেছেন চিত্রকলাকেও। তাঁর লেখা গান আমাদের জাতীয় সংগীত। বাঙালির মহান মুক্তিসংগ্রামে রবীন্দ্রনাথের গান জুগিয়েছে প্রেরণা।