কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে দোকান মালিক সমিতির নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বলা হয় যারা দায়িত্ব পালন সঠিকভাবে পালন করতে না পারলে দোকান বন্ধ রাখতে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে দোকান মালিক সমিতির সদস্যরা চেষ্টা করার জন্য দোকান খোলার আহ্বান জানান তারা। আজ বিকাল ৩ টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরে কে তাদের অসংখ্য থাকায় দোকান মালিক সমিতির সদস্যরা জানান আমরা ব্যর্থ হয়েছি। জেলা প্রশাসক একথা শুনার পর পরে আজ থেকে দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া কোন ভাইরাসের প্রভাবে সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকল দোকান শপিং মল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন পরিপত্র জারির মাধ্যমে ঘোষণা দেন। জেলা প্রশাসক জানান সবকিছু বিবেচনা করে দোকানপাট খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে বাজারের উপচে পড়া ভিড় অসচেতনতা অবহেলার কারণে যথাযথ ভাবে কোন আবশ্যক শর্তই পালিত হচ্ছে না।
অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে লোকজন কুষ্টিয়াতে আসতে শুরু করে কেনাকাটা করার জন্য। এতে করে করনা ভাইরাসের ভয়াবহভাবে সম্ভাবনা দেখা যায়।এই অবস্থায় শনিবার সকাল ছয়টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব শপিং মল বিপণিবিতান মার্কেট দোকানপাট ব্যবসা কেন্দ্র বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।একই সাথে ফুটপাতে বা প্রকাশ্যে খোলা স্থানে হকার বা ফেরিওয়ালার অথবা দোকানপাট বন্ধ থাকবে জানা গেছে। তবে আগের মতোই জরুরী পরিষেবা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কাঁচাবাজার খাবার দোকান ওষুধ পরিসেবা চালু থাকবে।এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন জেলা প্রশাসক। এদিকে জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন জানান প্রশাসনের আন্তরিকতার কোনো অভাব ছিল না। প্রশাসন বরাবর নানাভাবে সর্তকতা অবলম্বন দের জন্য ব্যবসায়ীদের বলে আসছিল তারা একে একে একে বারেই গ্রাহ্য করেনি। এমনকি সাধারণ মানুষ হয়ে এটা মানে নি।এটা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করতে পারতো বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান কুষ্টিয়ার বাইরের জেলার লোকজন কুষ্টিয়া তে ঢুকতে পারবে না। ঢুকলে কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখন পর্যন্ত কুষ্টিয়ার করো না ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি। আজ যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের আইসিলনে অথবা বাড়িতে থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মানুষের জন্য দিনভর খেতে যাচ্ছেন তারা।যাতে করে কুষ্টিয়ার সাধারণ মানুষ কোন করনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছড়িয়ে না যেতে পারে।