দৌলতপুর প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গায়ে পায়খানার মল ছিটিয়ে অভিনব কায়দায় আবারো এক মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিযোদ্ধা ভাতার ১২ হাজার টাকা কৌশলে করে নিয়ে পালিয়েছে একটি চক্র। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে সোনালী ব্যাংক দৌলতপুর শাখা থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করে ব্যাংকের বাইরে বের হলে স্থানীয় একটি চক্র কৌশলে মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ আলীর গায়ে পায়খানার মল ছিটিয়ে তা পরিস্কার করার জন্য বলে। এসময় মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ আলীকে ময়লা বা নোংরা পরিস্কার করার জন্য উপজেলা পরিষদ চত্বরের মসজিদে নিয়ে যায় ওই চক্রের এক সদস্য। সেখানে টাকা ভর্তি ব্যাগটি চক্রের ওই সদস্য হাতে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ আলীকে মসজিদের ট্যাপে গিয়ে পোষাকে লেগে থাকা নোংরা পরিস্কার করতে বলে। মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ আলী চক্রের ওই সদস্যের মিষ্টি কথায় কিছু না বুঝেই টাকা ভর্তি ব্যাগটি তার হাতে তুলে দিয়ে মসজিদের ট্যাপের পানি দিয়ে পোষাকে লাগানো নোংরা পরিস্কার করতে গেলে ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায় চক্রের ওই সদস্য। নোংরা পরিস্কার করে এসে মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ আলী টাকাসহ ওই ছেলেকে না পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ আলীর কান্না শুনে স্থানীয়রা ছুটে গেলে কান্নাজড়িত কন্ঠে মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ আলী টাকা খোয়ার ঘটনাটি তাদের জানায়। ন্যাক্কারজন এ ঘটনার বিষয়টি দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারকে জানানোর জন্য বলা হয় মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ আলীকে। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। গত ৩ মে সিরাজনগর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের মুক্তিযোদ্ধা ভাতার ৩০ হাজার টাকা একই ভাবে কৌশলে নিয়ে নেয়। একইভাকে এক মুক্তিযোদ্ধাসহ আরো ৮জন ব্যক্তির টাকা কৌশলে ময়লা ক্ষেপন করে নিয়ে নেয় বলে জানায় অভিযোগকারীরা। একের পর এক টাকা হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন নীরব রয়েছে বলে জানায়। এছাড়াও এ বিষয় নিয়ে উপজেলা পরিষদের আইন শৃঙ্খলা সভায় একাধিকবার আলোচনা করা হলেও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় একের পর এক এমন ঘটনা ঘটছে আর অর্থ হারিয়ে প্রতারিত হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষ। বিষয়টি দেখার জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীসহ সর্বসাধারণ। টাকা ছিনতাই হওয়া মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ আলীর বাড়ি উপজেলার পিয়াপুর ইউনিয়নের আমদহ গ্রামে।
এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, আমার কাছে টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়টি আমি জানি তবে আমি দৌলতপুর থানার ওসিকে অবহিত করেছি বিষয়টি দেখার জন্য। আশা করি এ চক্র খুব আইনের হাতে ধরা পড়বে।