কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : পোড়াদহ, হরিপুর মার্কেটগুলোতে ঢাকা ফেরত মানুষের রাত ৩ টা থেকে সকাল পর্যন্ত আনাগোনা, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে ব্যবসার কার্যক্রম। একদিকে পোড়াদহ মার্কেটগুলোতে দিনের বেলা বেচাবিক্রী নিষেধ থাকলে মানছে না দোকান ব্যবসায়ীরা অপর দিকে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে প্রসাশনের নির্দেশ অমান্য করে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকান গুলোতে চলছে ঈদ উৎসব। এতে কুষ্টিয়া মহামারী করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা দেখা যেতে পারে। পোড়াদহ বাজারে প্রতিটি দোকানের সামনে একটি করে লোক দাড়িয়ে আছে। কোন ক্রেতা ঐ দোকানের পাশ দিয়ে গেলে বলছে কিছু লাগবে। ক্রেতা যখন বলে কি আছে তখন দোকানের সাটারের ভিতরের ঢুকিয়ে বেচা কেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছে দোকানদারা। এক দোকানদার বলেন সারাদিনের চেয়ে রাতের ব্যবসাটা অনেক ভালো। নেই কোন প্রশাসন, নেই কোন ভয়।
অপরদিকে, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে প্রশাসনের নির্দেশনা তোয়াক্কা করে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান । করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে চালিয়ে যাচ্ছে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রয় বিক্রয় । হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে অধিকাংশ দোকানপাট খোলা রাখার কারণে জনসাধারণের মধ্যে আকঙ্কের ছাপ দেখা দিয়েছে । প্রায় এক লক্ষ মানুষের বসবাস হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে । শিশু সহ বয়স্করা রয়েছে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে । কিছু অসাধু মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা মানছেন না সরকারি ঘোষণা বা নির্দেশনা । হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুড়ে দেখা যায় বয়স্ক মহিলা সহ বিভিন্ন বয়সী শিশু সহ তরুণীরা পোশাক সেন্ডেল ও কসমেটিক এর দোকানে পদচারণায় পরিপূর্ণ দোকান
এ ছাড়াও টিভি ফ্রিজ ফার্নিচার ও চায়ের দোকানে ব্যাপক লোক সমাগম সৃষ্টি হচ্ছে । অনেকেই বলছেন কুষ্টিয়া প্রান কেন্দ্র এন এস রোডের সকল প্রকার দোকান বন্ধ থাকায় গ্ৰামের দোকান গুলোতে ভিড় জমেছে অতিরিক্ত । এছাড়াও শহরের দোকানপাট বন্ধ থাকায় এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে চলছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান । এছাড়াও পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহল দিতে আসলে তারা দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে দোকানের মধ্যে অবস্থান কিনবা দূত পালিয়ে যাচ্ছে অন্যত । প্রশাসনের গাড়ি চলে গেলে আবার অবস্থান করছে অসাধু মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা । এসময় অনেকেই বলেন যারা কিছু দিন আগেও ত্রাণ সামগ্রী গ্ৰহন করেছেন তাড়াই আবার দোকান গুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন । সুশীল সমাজের প্রতিনিধি রা বলছেন আশ্চর্য হলেও সত্য যারা অভাব অনাটনের মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করছেন তাড়াই আবার শপিং করার জন্য টাকা পাচ্ছে কোথায় । এবিষয়ে শুধু দোকানদারদের আইনের আওতায় আনলে হবে না পাশাপাশি ক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে তাহলে করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী তা বৃদ্ধি পাবে । এছাড়াও প্রশাসন কে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন । এছাড়াও তরুণ প্রজন্মের নেতা আব্দুল কাদের বলেন এই ঈদের শপিং করার পাশাপাশি যেন কাফনের কাপড় টা ক্রয় করে মানুষ রেখে দেয় হয়ত পরে নাও পেতে পারে ।