মোঃ সামরুজ্জামান (সামুন): করোনা ভাইরাসে এখন সমগ্র বিশ্ব বিপরস্ত, বাংলাদেশও করোনা আক্রান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন। ক্ষুধা অনিশ্চিতা ও চিকিৎসাহীনতার ভয় বাড়ছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে দারিদ্রের মধ্যে পড়ছে এবং মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন এবং বাঁশরী-একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র সারাদেশে ৬৪ জেলায় প্রায় (১০,০০০) দশ হাজার পরিবারকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত (১৫মে ২০২০) থেকে এই ত্রান বিতারন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় বন্ধু ফাউন্ডেশনের অফিস রয়েছে। ইতি মধ্যে কর্মীদের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র পরিবার গুলোর তালিকা প্রস্তত করা হয়েছে। তালিকা প্রণয়নে বেদে কুমার নাপিত এবং আদিবাসীসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পরিবারকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রস্তত তালিকা অনুযায়ী ত্রান বিতারণ করা হচ্ছে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রভাবে দেশের অসহায় ও দুস্থ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে এর ফলে এসব মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। সেসব মানুষের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন এবং বাঁশরী-একটি নজরুল চর্চা কেন্দ্র অর্থায়ণে কুমারখালীর বিভিন্ন এলাকার ১২৫টি পরিবারের মাঝে ঈদের খাদ্যসামগ্রী উপহার হিসেবে বিতরণ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৯ মে ২০) সকাল ১০ সময় কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মাজার প্রাঙ্গণে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ঈদের এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশনের সহকারি জেলা ম্যানেজার মাজহারুল ইসলাম, ও সহকারী জেলা ম্যানেজার লুৎফর নেছা’র উপস্থিত থেকে এসব খাদ্যসামগ্রী অসহায় দরিদ্র মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দেন।
এসব খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে প্রত্যেককে চাউল, পিয়াজ, সয়াবিন তেল, সেমাই, চিনি, সাবান, লবণ দেওয়া হয়।