মোঃ সামরুজ্জামান (সামুন):
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রভাবে দেশের অসহায় ও দুস্থ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে এর ফলে এসব মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। সেসব মানুষের কথা চিন্তা করে আর-রাফি ফাউন্ডেশন এই লক্ষ্যে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আর-রাফি ফাউন্ডেশন। সবশেষ বুধবার (২০মে) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের শাহজাদপুর বাসস্ট্যান্ডে ৩৫০টি অসহায় পরিবারের মাঝে ৭দিনের সমপরিমান উপহার সামগ্রী (খাদ্য সামগ্রী) বিতরণ করা হয়েছে।
এসব খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে প্রত্যেককে ৭দিনের সমপরিমান এর পোলাও চাল, সয়াবিন তৈল, লাচ্ছা সেমাই, চিনি দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আর-রাফি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রুমা ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন, ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্য রিয়াকা ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবীব উল্লাহ খান, রচি ইসলাম, সজিবুল আবেদীন নয়ন, কার্যনির্বাহী সদস্য শামীম হোসেন, ইয়ার হোসেন, সদস্য সৈয়দা গুলশান আরা রিনা, রেশমা, রিমা, সাদমি, রিদোয়ান প্রমুখ।
এর আগে (৪ এপ্রিল) বগুড়া সদরে ২৫টি পরিবারকে ৭দিনের এবং (৭ এপ্রিল) ঢাকার উত্তারায় ৭০টি পরিবারকে ১০ দিনের সমপরিমান খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। (১০ ও ১৮ এপ্রিল) ঢাকার শাহজাদপুর এলাকায় ৫০টি পরিবারের মাঝে দুই দফা রান্না করা খাবার বিতরণ করা। (২৩ এপ্রিল) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯নং ওয়ার্ডে ৩০০টি পরিবারের মাঝে ১০ দিনের সমপরিমান খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। (১৩ মে) একই ওয়ার্ডে ১৫০টি পরিবারের মাঝে ৩-৪ দিনের কাঁচা বাজার বিতরণ এবং (১৪ মে) উত্তরা ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় আপন নিবাস বৃদ্ধাশ্রমে ১৬০টি বিরিয়ানির প্যাকেট বিতরণ করা হয়।
এছাড়া প্রথম দিকে ফাউন্ডেশন পক্ষ থেকে গ্রামের মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা হিসেবে প্রথমবারের মতো ময়মনসিংহে একটি টিউব ওয়েল এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯নং ওয়ার্ডে বিশুদ্ধ খাবার পানির ফিল্টার স্থাপন করা হয়।
আর-রাফি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রুমা ইসলাম বলেন, সমাজসেবা, গরীব-দু:খি মানুষের পাশে থেকে সাহায্য-সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে গত বছরের (৪ সেপ্টেম্বর) ফাউন্ডেশনটি গঠন করা হয়। কিন্তু আনুষ্ঠাতিকভাবে এখনো উদ্বোধন হয়নি। আগামী জুনের ২৮ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের যাত্রা শুরু হবে। তবে গত ১ মাসে প্রায় ১৪০০ অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও কাঁচাবাজার সরবরাহ করা হয়েছে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মানবতার সেবায় আমাদের এ সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।