1. riajul.kst1@gmail.com : riajul :
  2. riajul.kst@gmail.com : riajul.kst@gmail.com :
বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

কুষ্টিয়ায় গুজবের আরেক নাম মোমবাতি

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০
  • ৫০৮ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : মূল্য বৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে পড়ায় বেশি পরিমাণে মোমবাতি কেনার হিড়িক পড়েছিল কুষ্টিয়াবাসীর।  গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যায় বিভিন্ন লোক মুখে  মোমবাতির মূল্য বেড়ে যাওয়ার গুজব রটে। এরপর ভোক্তারা অধিক পরিমাণে মোমবাতি কিনতে শুরু করেন। পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে মোমবাতি বিক্রি বেড়ে যায়।

পৌর এলাকার বাজারের দোকানে মোমবাতি কিনতে লোকজন ভীড় করেন। গভীর রাত পর্যন্ত অনেককে ১০ থেকে ২০ প্যাকেট মোমবাতি কিনে বাসায় ফিরতে দেখা যায়। গুজব নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রশাসন মাঠে নামার পর পরিস্থিতি বদলে যেতে শুরু করে। গুজব নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বাজার মনিটরিং করে প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

গুজবের মাধ্যমে ছড়ানো তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়াই সাধারণ মানুষ মোমবাতির দাম বাড়ার কথাটি বিশ্বাস করে বেশি বেশি মোমবাতি কিনে নেন। স্থানীয় মোমবাতি ডিলার জানান, মোমবাতি তারা স্বাভাবিক দামে বিক্রি করেছেন। এছাড়া মোমবাতির কোনো ঘাটতি নেই। তিনিও গুজবের খবর শুনেছেন। তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ী গ্রামের হাট বাজারে মোমবাতি বেশি দামে বিক্রি করছেন-এমন খবর তিনিও পেয়েছেন।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, মোমবাতির দাম বেড়েছে-এমন গুজব তিনিও শুনেছেন। তার দোকানে সন্ধ্যার পর থেকে বেশি মোমবাতি বিক্রি হয়েছে। তবে মোমবাতির প্যাকেটের গায়ে যে খুচরা মূল্য লেখা আছে সে দামেই তিনি বিক্রি করেছেন।

জানা যায়, গত কয়েক দিন আগে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা শঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি মহল সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে লবণের দাম বেড়ে গেছে বা যাবে এমন গুজব ছড়িয়ে দেয়। এতে ক্রেতারা বিভিন্ন মুদি দোকানে লবণ কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন।

গতকাল আমাদের সংবাদকর্মী ভয়াবহ দুর্যোগের কারণে বিদ্যুত না থাকায় মোমবাতি কিনতে যায়। কিন্তু কোনও দোকানে মোমবাতি নেই বলে জানায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার কথিত  মতে কুষ্টিয়া এস এ পরিবহন গলির ভিতর একজন অসদ ব্যবসায়ী “মায়ের দোয়া” ষ্টোরে বাঁধন নামক একজন ব্যবসায়ী বেশি দামে মোমবাতি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়ায়। তথ্যসূত্র মতে আমাদের ওই  প্রতিনিধি গেলে দোকান ব্যবসায়ী তা স্বীকার করেন এবং বলেন আমি এক টাকার মাল পাঁচশত টাকায় বিক্রি করব। তাতে কেউ আমাকে বাঁধা প্রদান করতে পারবে। তৎক্ষনাত কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনজার্চ গোলাম মোস্তফা নির্দেশনায় ও (অপারেশন) মামুন অর রশিদের সহযোগিতায় উক্ত দোকানদারকে বেশি দামে মোমবাতি বিক্রির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান অতিরিক্ত দামে মোমবাতি কিনে আনছি বলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে তিনি এ বিষয়ে কোন কাগজ দেখাতে পারেন নাই দোকানদার। পরে দোকান ক্ষমা চান এবং আর বেশি দামে মোমবাতি বিক্রি করবে না বলে জানায়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর ....

All rights reserved © 2020 tajasangbad.com
Design & Developed BY Anamul Rasel
x
error: Content is protected !!