মিরপুর প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন নয়। শুধুমাত্র রাস্তার জন্য দাবী করায় আজ ৫ দিন ধরে জীবনের ভয়ে বাড়ীতে লুকিয়ে আছেন ৫০জন কৃষকের পরিবার। তাদেরকে জিম্মি করে রেখেছেন কিছু প্রভাবশালী শ্রেণীর লোকজন। ঠিকমত কৃষকেরা খেতে দিতে পারছেন না গরু, ছাগলসহ পরিবার পরিজনের মুখে। বাড়ি থেকে বের হলে শুরু করছে মারধর। তারা চেয়ে আছেন প্রশাসনের মুখের দিকে। কুষ্টিয়ার মিরপুর গোরদুয়া গ্রামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বাড়ীর মুল গেটে বাঁশের কাবারি দিয়ে বেঁধে রেখেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঢুকতে ও বেরতে পারছেন না ৫০ জন কৃষকের পরিবার। ৫ বছর ধরে বসবাস করছেন কৃষকসহ কৃষকের পরিবার পরিজনরা। বর্ষা মৌসুমে চলাচলে কাঁদা থাকায় ইটের ছোট ছোট খোয়া দিয়ে রাস্তাটি মেরামত করে দিয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর মশানের ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়ায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় গর্ত ও প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছেন প্রতিপক্ষ আইনাল, রবিউল, রেজন, ইমরান, বিল্লালসহ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত আছেন কৃষকেরা কিভাবে পশু পাখি ও পরিবারের মুখে একমুঠো খাবার তুলে দিবেন তারা। জীবনের ভয়ে বাড়ীর ভিতরে সময় দিন পার করছেন যুবক/যুবতিসহ ৫০জন কৃষকের পরিবার। এমনকি শিশুসহ নারীদেরকেও ছাড় দিচ্ছেন না তারা। তাদের চোখে মুখে এখন শুধু অন্ধকার, প্রহর গুনছে আলো কখন আসবে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা জানান : ৯ (জুন) সোমবার থেকে আমরা একঘরে বন্দি আছি। রাজনৈতিক দল থেকে চলে আসায় প্রতিহিংসার কারণে প্রতিপক্ষ আইনাল, রবিউল, রেজন, ইমরান, বিল্লালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের পরিবারকে মারার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকেন। আমরা গরীব মানুষ রাজনৈতিক কিছু না বোঝার কারণে জেলও খেটেছি। এসবের কারণে ৫ বছর পর আজ আমার বাড়ীর প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এর ফলে আমরা নিজেরাও এখন খেতে পারছি না, আমাদের পোষা প্রাণীদের খাবার দিতে পারছি না।
এ এলাকার স্থানীয়রা/প্রতিপক্ষরা জানান:আমাদের কথার সাথে মিল না থাকায়, ইচ্ছে হয়েছে তাই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। দলিল অনুযায়ী তারা রাস্তা পাবে না। রাস্তাটি পাকা হলে আমার জমিটি খাস হয়ে যাবে। পানি নিষ্কাশনের জায়গা না থাকায় এ কাজ গুলো আমরা করেছি। তবে এটা কোন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে নয় বলে তারা জানান।
মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান অসহায় কৃষকের বাড়ীতে পথ আটকিয়ে রেখেছে এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা খুব দ্রুতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।