দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মথুরাপুর জিসি থেকে জুনিয়াদহ জিসির ১৭৬২ মিটার পাকা সড়ক সংস্কারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের কারণে এলাকা বাসি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন । দীর্ঘদিন পরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ২০১৯-২০ অর্থ বছরের সড়ক মেরামতের কাজ শুরু হয় । এই সংস্কার কাজ পান টিটু এন্টার প্রাইজ নামক চুয়াডাঙ্গার এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এই সড়ক সংস্কারের ব্যয় ধরা হয় ৬৯,২৭,২৭৬ টাকা। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ২৯/ ১২/২০১৯ তারিখে কাজ শুরু করে শেষ করার কথাছিল গত ১২/০৩/২০২০ তারিখে ।কিন্তু সেই সময় পার হলেও আজও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান । পরবর্তিতে নাসির নামে এক ঠিকাদারেরে কাছে কাজ ছেড়ে দেন প্রতিষ্ঠানটি । অপেক্ষা দিন শেষ হয়না দৌলতপুর বাসীর কাজ শুরু হলেও অভিযোগ উঠেছে অনিয়মের
গত শনিবার প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে কাদা ও পানির মধ্যে তড়ি ঘড়ি করে নি¤œ মানের ইট ও বিটুমিন দিয়ে কাজ শেষ করেন যার ফলে হাত দিলেয় সড়কের কারপেটিং উঠে আসে । অনিয়মের কারনে এলাকার জনগণের মধ্যে খোবের সৃষ্টি হয় । ক্ষোভ দেখাতে গিয়ে তোপের মুখে পড়তে হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির ।
উপজেলার হোসেনাবাদ কান্দিরপাড়া গ্রামের অংশে হাতের সঙ্গে উঠে আসছে পিচ-পাথরের কার্পেটিং। এ ঘটনা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই হোসেনাবাদ স’মিল পাড়া থেকে মথুরাপুর গোহাট পর্যন্ত সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান,গত শনিবার এ সড়কে পিচ-পাথরের নতুন কার্পেটিং করা হয়েছে। অথচ এখনই এর এক অংশ ধরে টান দিলে হাতের সঙ্গেই পুরো কার্পেটিং উঠে আসছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাই এটা টেনে তুলে ফেলছে।
এদিকে রাস্তার কাজের অনিয়মের অভিযোগ করায় মেরু মোল্লার ছেলে ইয়াদ আলী কে হুমকি প্রদান করেন থানা ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন । তিনি বলেন এলজিইডির এক্সেন এর কাছে ফোনের মাধ্যমে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে দুর্বল সামগ্রী দিয়ে এমন অভিযোগ করি তার পরে থানা ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন মটরসাইকেলে এসে বাড়িতে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয় ।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা মোতাছিন বিল্লাহ জানান জননেত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে কাজ করছে এখানে কোন প্রকার দুর্নীতি বাজের ঠায় নেয় । আমরা সঠিক ভাবে রাস্তা নির্মাণের কাজ চাই ।
নাসির উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, টিটু আমার চাচা আমি এবং টিটু এক সাথে কাজ করি। আমাদের যে কাজটির মান নিয়ে কথা উঠেছে । কিন্তু কাজটি থানা ইঞ্জিনিয়ার নিজে দাড়িয়ে থেকে কাজ করিয়ে নিচ্ছে।
থানা ইঞ্জিনিয়ার ইফতেকার উদ্দিন জোযাদ্দার জানান, কাজ ঠিক মত হচ্ছে আমার অফিসের লোক সব সময় কাজের সাইটে আছে, তবে কোন ত্রুটি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে , বৃষ্টির মাঝে কাজ করা যায় কি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান বৃষ্টি হলে কখনো কাজ করা সম্ভব নয় তাহলে কাজ কিভাবে হচ্ছে এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি । তবে এলাকাবাসীকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, আমি কোন ব্যক্তিকে হুমকি দেয় নাই।
এবিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান আমরা এবিষয়ে অবগত হয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এ জাতীয় আরো খবর ....