এনামুল কবির সবুজ কেশবপুর প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় যশোর জেলা কমিটির সদস্য সচিব ও সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন কেশবপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ও কেশবপুর সদর ইউনিয়ন রেড জোন চিহ্নিত করেছেন। ডাক্তার শেখ আবু শাহীন স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি থেকে শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গত ১৮ জুন ল্যাবরেটরি রিপোর্ট অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত তালিকা অনুযায়ী যশোর জেলায় নতুন ইয়ালো ও রেড জোন চিহ্নিত করা হলো। পূর্ব ঘোষিত অন্যান্য ইয়ালো ও রেড জোন অপরিবর্তিত থাকবে। এর আগে ১৫ জুন (সোমবার) সকালে যশোরের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এক জরুরি সভায় কেশবপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর ও ভোগতি নরেন্দ্রপুর (পূর্বাংশ) এলাকা রেড জোনের আওতায় আনা হয় এবং শুক্রবার বিকেল থেকে লকডাউন কার্যকর করেছিলো উপজেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা জানান, সংক্রমণ রোধ করতে কঠোর লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে।
কেশবপুরে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার নতুন করে ৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ৩১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০ জনের দেহে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৩ জন। ১৭ জনকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন।
করোনা আক্রান্তদের ভেতর কেশবপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও তার স্ত্রী একই হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপকও রয়েছেন। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আছেন ১১ জন। তাদের মধ্যে ডাক্তার ২ জন, নার্স ৩ জন, স্যাকমো ২ জন, স্বাস্থ্য সহকারী ২ জন, ইউনিয়ন প্রভাইডার ১ জন ও টিএলসিএ ১ জন। এছাড়া কেশবপুর থানার ২ জন পুলিশ সদস্য এ তালিকায় আছেন। একজন এএসআই, অন্যজন কনস্টেবল।