কুমারখালী প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া কুমারখালী পৌর এলাকার তরুনমোড় রাস্তার ধারের ক্ষুদ্র কাঁচামাল ও মাছ বিক্রেতারা নিরব চাঁদাবাজি সহ নানাবিধ সমস্যার শিকার হলেও ভয়ে মুখ খুলছেননা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
করোনাকালীন সময়ে কুমারখালীতে লক ডাউন ঘোষনার সময় স্বল্প পরিসরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ফার্মেসী ছাড়া সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন সময়ে তরুন মোড় কুষ্টিয়া রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে স্থানীয় কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যারা দীর্ঘদিন যাবত উল্লেখিত স্থানে ব্যবসা করছেন তাদের বাটিকামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নির্দিষ্ট দুরত্বে ব্যবসা পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসন নির্দেশনা দেয়।
বাটিকামারা স্কুল মাঠে দোকানীরা ব্যবসা শুরু করার পর থেকেই শুরু হয় চাঁদাবাজী সহ বহুমুখী প্রতিবন্ধকতা । নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী জানান ৭০/৭৫ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন যাদের প্রতিনিয়ত টাকা অথবা পণ্য দিতে হয় না দিলে শুরু হয় ঝামেলা। এছাড়া বাটিকামারা স্কুল মাঠে পানি জমে যাবার পর বর্তমানে সাইড রোডের পাশে দোকান বসানোতে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। ব্যবসায়ীরা জানান কুষ্টিয়া রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক যেখানে তারা পূর্বে বসে ব্যবসা করতেন সেখানে ফিরে যেতে পারলে আগের মতো স্বাধীনভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারতেন। কিন্তু তারা যেতে চাইলেও কিছু ব্যক্তি যারা প্রতিনিয়ত নিরবে সুবিধা ভোগ করছে তারা পেশী শক্তির দাপটে যেতে দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবুল ইসলাম খান জানান তরুন মোড়ের বাজার ইজারাভুক্ত নয় যেকারনে বাজারটির কোন বৈধতা নেই। সকাল থেকে সড়ক ব্যস্ত হয়ে উঠার আগ পর্যন্ত তারা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্যবসা করতে পারে। করোনাকালীন সময়ে তাদেরকে বাটিকামারা স্কুল মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছিল কিন্তু এখন পূর্বের স্থানে ব্যবসা পরিচালনা করলে তাদের কোন আপত্তি নেই।