1. riajul.kst1@gmail.com : riajul :
  2. riajul.kst@gmail.com : riajul.kst@gmail.com :
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ধান-চালের ব্যবসা করতে পারবে না অবৈধ ব্যবসায়ীরা : খাদ্যমন্ত্রী নীল ছবি চলল টানা ৩ মিনিট রেলস্টেশনের টিভিতে হঠাৎ বিএনপির ১০ দফা দাবী নিয়ে সরকার ও জনগণ এখন ভাবছে না, তাদের দাবী তাদের কাছে রাখুক : কুষ্টিয়ায় মাহবুবউল আলম হানিফ পুলিশের অভিযানে চোরাই মোটরসাইকেল সহ দুইজন গ্রেফতার খোকসায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও অবৈধ মজুদ রোধে প্রস্তুতিমূলক সভা কুষ্টিয়ায় নানা আয়োজনে ওয়ালটন ডে পালিত বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম শেষ, তাদের নিয়ে ভাবনার কিছু নেই: কুষ্টিয়ায় মাহবুবউল আলম হানিফ কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আল্লেকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ঢাকাগামী বাস উল্টে নিহত ১৬ বিদেশীদের কাছে বিএনপির দৌড় ঝাপ বা কোন ধরনের ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না : মাহাবুব উল আলম হানিফ

শেরপুরে ১০ বছরেও মাথা গুজার ঠাই মেলেনি ভিক্ষুকছম খাতুনের ভাগ্যে

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০
  • ৩৬১ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
Exif_JPEG_420

শেরপুর প্রতিনিধি; ১০ বছরেও মাথা গুজার ঠাই মেলেনি ভিক্ষুক ছম খাতুন (৭৪)’র ভাগ্যে। ছম খাতুন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও চতল গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের স্ত্রী। বয়সের ভারে ভিক্ষাবৃত্তি করতেও কষ্ট হয় তার। এর পরেও জীবিকার তাগিদে তাকে ঘুরতে হয় অন্যের দ্বারে দ্বারে। ছম খাতুন জানান, ২কন্যা সন্তান রেখে দেশ স্বাধীনের পূর্বে তার স্বামী আব্দুল আজিজের মৃত্যু হয়। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে দুই সন্তানকে লালন পালন করে বিবাহ দিয়েছেন। বড় কন্যা আলেছা খাতুনের ঘরে ৩ সন্তান। ছোট মেয়ে ছালেমা খাতুন ৪ সন্তানের জননী। ছালেমা খাতুনের স্বামী ৪ সন্তানসহ তাকে রেখে নিরুদ্দেশ। ওই ৪ নাতি ও মেয়েসহ ৬ সদস্যের পরিবার ছম খাতুনের। ছম খাতুন ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পায় তাই দিয়ে চলে তার সংসার। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন, হেটে যেতেই শরীর কাঁপে ছম খাতুনের। তবুও থেমে নেই তার জীবন যুদ্ধ। প্রতিদিন বের হতে হয় ভিক্ষাবৃত্তি করতে। ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পায় তাই দিয়ে খেয়ে না খেয়ে চলে তার সংসার। একদিন গ্রামে বের হতে না পারলে সেদিন চুলা জ্বলেনা। দিন কাটে অনাহারে-অর্ধাহারে। বসতভিটার ৫শতাংশ জমির উপর বসবাসের জন্য মাটির একটি দেয়াল ঘর ছাড়া সহায়-সম্বল বলতে নেই কিছু ছম খাতুনের। থাকার ঘরটিওগত প্রায় ১০ বছর পূর্বে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। টাকা পয়সার অভাবে ঘরটি আর মেরামত করা সম্ভব হয়নি ছম খাতুনের। অতিকষ্টে অন্যের বাড়িতে থেকে দিন যাপন করছেন ছম খাতুন।ছম খাতুন জানান, তার বিধ্বস্ত হয়ে পড়া ঘরটি মেরামতের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন অনেক। কিন্তু কোনকাজে আসেনি। ফলেমানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। ছম খাতুন বলেন, সরকারীভাবে তার পরিবারের জন্য মাথা গুজার ঠাই করে দেয়া হলে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা কৃতজ্ঞ থাকবে সরকারের প্রতি। এ ব্যাপারে গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, কেউ আমাকে এ সম্পর্কে জানায়নি। তবে সামনে সরকারী ঘর বরাদ্দ এলে তাকে দেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর ....

All rights reserved © 2020 tajasangbad.com
Design & Developed BY Anamul Rasel
x