কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া : করোণামহামারীর এই দুঃসময়ে আমেরিকা প্রবাসী জয় নেহালের আর্থিক প্রণোদনায় প্রতি শুক্রবারে ন্যয় আজও কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানের সম্মুখে অবস্থানরত গরিব-দুঃখী, অসহায়, ছিন্নমূল ও পথশিশুদের মাঝে রান্নাকৃত খাবার বিতরণ করেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক খলিলুর রহমান মজু ও সমাজসেবক পলাশ। আজ বাদ জুম্মা শেষে তারা নিজ হাতে ঐসকল অসহায়দের হাতে রান্নাকৃত খাবার তুলে দেন।
আমেরিকা প্রবাসী জয় নেহালের বিষয়ে আজ দুটি কথা না বললে তা অপূর্ণ থেকে যাবে। তিনি সপরিবারে আমেরিকা বোস্টন শহরে বসবাস করছেন দীর্ঘদিন ধরে কিন্তু তার মন পড়ে আছে কুষ্টিয়াতে। এক মুহূর্তের জন্যও ভুলে যাননি তার নিজ জন্মভূমি কুষ্টিয়ার মাটিকে। তিনি ওখানে প্রচন্ড বিপদের মধ্যে থেকেও তার নিজ জন্মভূমির মানুষের কল্যাণের জন্য সাহায্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রেখেছেন। তিনি বর্তমান মহামারী করোনা কালীন সময়ের অনেক আগে থেকেই কুষ্টিয়াবাসীর বিভিন্ন দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করে আসছেন। বিশেষ করে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানের উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার বিরল ভূমিকা রয়েছে। উক্ত গোরস্থানটির তত্ত্বাবধানে কিছু ব্যক্তি নিয়োগ করা আছে তারা প্রতিনিয়ত গোরস্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখছেন।
উক্ত গোরস্থানটি আজ সমাজের উচ্চবিত্ত ব্যক্তিদের সহায়তায় গোরস্থানের উন্নয়নের কার্যক্রম করার কথা ছিল, কিন্তু তারা আজ অর্থবিত্ত নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, কোন সময় তারা একটিবারের জন্য কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থানের দিকে নজর দেন না, অথচ এই প্রবাসী জয় নেহাল তার আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে গোরস্থানটি একটি দর্শনীয় রূপ ধারণ করেছে।
আমেরীকা প্রবাসী জয় নেহাল এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন পর্যন্ত আমার জন্মভূমি কুষ্টিয়ার হতদরিদ্র অসহায় ও ছিন্নমুল মানুষদের আমার সাধ্যমত সেবা করে যাব। তিনি আরো বলেন, করোনার এই মহামারী দুঃসময়ে রান্নাকৃত খাদ্যদ্রব্য গরিব দুঃখীদের মাঝে বিতরনের মূল উদ্দেশ্য একটাই সেটা হল, সমাজে আল্লাহ যাদের ধন সম্পদ দিয়েছেন তারা যেন আমাদের দেখে অনুপ্রানীত হয় ও দানের হাত বাড়িয়ে অসহায়দের মাঝে বিতরণ করেন।
অন্যদিকে বিশিষ্ট সমাজসেবক খলিুলুর রহমান মজু বলেন, এই কুষ্টিয়া শহরে অনেক ধন্যাঢ্য ব্যাক্তি আছেন, তারা সকলেই যদি জয় নেহাল এর মত নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সহযোগীতার হাত সম্প্রসারিত করে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা করতো তাহলে কুষ্টিয়ার অসহায় মানুষরা আজ অভুক্ত থাকতো না।