কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : জনসাধারনের কাছে বিধাতার পরের স্থান চিকিৎসকদের। সেই ধারায় সর্ব্বোচ সম্মানের স্থানে স্থান পায় চিকিৎসকেরা। কিন্তু এক শ্রেনীর প্রতারকরা এই মহৎ পেশাকে অর্থ উর্পাজনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে। ফলে জনগন খাচ্ছে ধোকা, মহৎ পেশাটি হচ্ছে কলঙ্কিত। তেমনই ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে কুষ্টিয়ায়। দীর্ঘদিন যাবৎ হাসান ইমাম নান্নু মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট হয়েও অবৈধভাবে করছে অপারেশন। চালিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসার নামে বানিজ্য। বিষয়টি সবার জানা, তবুও নিশ্চুপ দায়িত্বশীল কর্তারা। নেয়া হয় না কোন পদক্ষেপ। ফলে বিনা বাধায় মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট হাসান ইমাম নান্নু চালিয়ে যাচ্ছে তার অপারেশন বানিজ্য। অবৈধ অর্থের নেশায় চিকিৎসা পেশাকে করছে কলঙ্কিত। এমনকি তার ভুল অপারেশনে ঘটেছে একাধিক রোগীর মৃত্যু। তবুও সে বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে তার অবৈধ কর্মকান্ড।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়, মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট হাসান ইমাম নান্নু দীর্ঘদিন যাবৎ কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক সহ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নামী-বেনামী ক্লিনিকগুলোতে চুক্তির মাধ্যমে অপারেশন করে চলেছে। যা সম্পূর্ন অবৈধ ও অনৈতিক। একজন মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ কিভাবে অপারেশন করে চলেছে নান্নু তা নিয়ে স্বয়ং সংশয় প্রকাশ করেছে চিকিৎসকেরা।
এদিকে কয়েকমাস আগে কুষ্টিয়ার একটি ক্লিনিকে মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট হাসান ইমাম নান্নুর ভুল অপারেশনে মৃত্যু হয় ফাতেমা (২০) নামে এক গৃহবধূর। এই ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় গৃহবধূর স্বামী ও ক্লিনিক মালিকের নামে অবহেলা জনিত হত্যা মামলা হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারনে অপারেশনকারী প্রধান অপরাধী মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট হাসান ইমাম নান্নু থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ বিষয়ে অনেকেই বলছে, মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট হাসান ইমাম নান্নু তার ভাই ডাক্তার হোসেন ইমামকে ঢাল বানিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে অপারেশন বানিজ্য।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের লেকচারার ও সার্জারী ডা. মোসাদ্দেক রেজা রিপন বলেন, মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যোন্টরা কোনভাবেই অপারেশন করতে পারে না। যদি কেউ করে, তাহলে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার সচেতন নাগরিকরা উদ্বেগ জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানায়।