এনামুল হক ইমন কুমারখালী: কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের প্রায় ৪০ বিঘা জমির ধান রাক্ষসী মাছ দিয়ে তছরুপ করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার আকুব্বর মেম্বারের ছেলে লিটন নামক মৎস্য ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। প্রায় ৩০ বছর যাবত এমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী আক্কাসের ছেলে রাশিদুল হোসেন, আদু শেখের ছেলে কেসমত আলী, সেকেনের ছেলে স্বপন এবং বোরিং মালিক লিয়াকতের ছেলে আব্দুল হালিম জানান প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে মৎস্য ব্যবসায়ী লিটন গ্রাসকার্প জাতীয় রাক্ষসী মাছ দিয়ে প্রায় ৩০ বছর যাবত এভাবে ক্ষতি করে আসছে। রামকৃষ্ণপুর বিলে লিটন সহ ৪/৫ জন মাছ চাষ করে এবং সেখানে তাদের বোরিং আছে কিন্তু উঁচু অঞ্চলের এই সীমানায় তাদের কোন জমি না থাকলেও শুধুমাত্র গায়ের জোড়ে এমন অনাচার করে থাকেন। আব্দুল হালিম আরো বলেন তার বোরিংয়ের আওতায় প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে এই মৌসুমে বগুড়াশুন্য প্রজাতির ধান লাগানো হয় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ধান বড় হতে থাকে যেকারনে ডুবে গিয়ে ধান মারা যাবার কোন সম্ভবনা থাকেনা এবং এই ধান কার্তিক /অগ্রহায়ণ মাসে কাটা হয় প্রতি বিঘায় প্রায় ২৫/৩০ মণ ধান পাওয়া যায়। কিন্তু লিটনের কারনে প্রতিবছর তারা লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এ বিষয়ে মৎস্য ব্যবসায়ী লিটন বলেন আমার দ্বারা কারোর কোন ক্ষতি হচ্ছেনা ২/১ বিঘা জমির ধান মাছ খেয়েছে আমার কাছে আসলে ক্ষতিপূরন দিয়ে দিবো। ঘিরে নিয়ে মাছ চাষ করেননা কেন এমন প্রশ্নের সদুত্তর তিনি দেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবুল ইসলাম খান বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই তবে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ও মৎস্য অফিসারদের মাধ্যমে পরিদর্শন করিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।