আরাফাত হোসেন, কুষ্টিয়া : জামায়াত বিএনপি অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে ২০০৩ সালে দেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড শুরু করে। সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের নামে যৌথবাহিনী দিয়ে ৪৫ জন মানুষকে হত্যা করে এবং হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করে দেয় ।
এই হত্যার দায় থেকে মুক্ত করতে তড়িঘড়ি করে সংসদে দায় মুক্তি অধ্যাদেশ পাশ করে বিএনপি সরকার । এর ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ক্রসফায়ার,এনকাউন্টার, আত্মরক্ষার্থে গুলি ইত্যাদি নানা নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড অব্যাহত রাখে বিএনপি সরকার ।
শুধু বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড নয়, এদেশের প্রগতিশীল, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক থেকে শুরু করে ভিন্ন মত অবলম্বনকারীদের হত্যা করে আসছে মৌলবাদী গোষ্ঠী ।
এটি কোন নতুন ঘটনা নয়, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাদের চক্রান্ত চালিয়ে আসছে । ১৯৯২ সালের ১৭ই আগস্ট ওয়ার্কাস পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাশেদ খান মেননকে হত্যার চেষ্টার মধ্য দিয়ে এদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনকে চিরতরে দমিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করে তৎকালীন বিএনপি সরকার ।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিচারের আশ্বাস দিলেও ঘটনাটির কোন বিচার হয়নি ।
একই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গার ওয়ার্কাস পার্টির নেতা রমজান,মোখলেস,সোহরাবসহ কুলবিলা গুচ্ছ গ্রামের ৮ জন ভূমিহীনকে হত্যা, ঝিনাইদহর মঞ্জু মাস্টার হত্যাসহ অসংখ্য হত্যাকান্ড সংঘটিত করে সন্ত্রাসীচক্র, একটি হত্যারও বিচার হয়নি । ২০০৮ সালে নির্বাচনে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ও সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক অবসান ঘটিয়ে ১৪ দল সরকার গঠন করে ।
দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড এখনো বন্ধ হয়নি ।
আজ বিকেল ৫ টায় কুষ্টিয়া শহরের কাটাইখানার মোড়ে ওয়ার্কাস পার্টির সন্ত্রাসবিরোধী আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন । ওয়ার্কাস পার্টির জেলা সম্পাদক হাফিজ সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সদস্য ও কৃষক সমিতির সভাপতি কমরেড এসরারুল হক, শহর কমিটির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেননের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন শহর কমিটির সম্পাদক সোহেল রানা,সজল পাল,শহর কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন,ছাত্রমৈত্রী কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান শিশির প্রমুখ ।
এ জাতীয় আরো খবর ....