ঢাকা অফিস : ফ্রি ফায়ার নামক একটি মোবাইল গেমস আকর্ষণ করে তুলেছে শিশু ও যুবকদের। দীর্ঘদিন ধরে চলছে মোবাইলে গেমটি খেলার সময় বিভিন্ন লেভেল পার করতে খরচ হচ্ছে ২৫ টাকা থেকে শুরু করে ৪৪৫০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করা হচ্ছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে আর্থিকভাবে লুটে নিচ্ছে কিছু কোম্পানী। কষ্টের টাকা এ ভাবে বেরিয়ে যাচ্ছে অভিভাবকদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন সহজে কার কাছে টাকা চাইলে পেতাম না। আবার যা যোগাড় করতাম তা দিয়ে কেনা হতো বই খাতা।
এখন কিছু কোম্পানী নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করে খরচ ছাড়ায় অতি তাড়াতাড়ি বড় পর্যায়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে জনসাধারণের পকেট কেটে।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে আট বছরের শিশু তার পিতার গেমসের মাধ্যমে ৪১ হাজার টাকা খরচ করে ফেলে ওই শিশু
ভারতের লক্ষ্ণৌ শহরে মোবাইলে গেম খেলার সময় বিভিন্ন লেভেল পার করতে বাবার একাউন্টের ৪১ হাজার টাকা খুইয়েছে ৮ বছরের এক শিশু। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘ নয় মাস ধরে বাবার মোবাইলে ফ্রি ফায়ার নামে একটি অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে বিভিন্ন লেভেল পার করতে ৪১ হাজার টাকা খরচ করে ফেলে ওই শিশু। তবে, ভয়ে সে বাবাকে এই বিষয়ে কিছু জানায়নি।
এদিকে, ওই শিশুর বাবা হঠাৎ করে দেখেন যে তার একাউন্ট থেকে ৩৫ হাজার (বাংলাদেশি ৪১ হাজার টাকা) টাকা গায়েব। ব্যাংকে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন এই টাকা অনলাইনে খরচ করা হয়েছে। এতে একাউন্ট হ্যাক হয়েছে এই সন্দেহে পুলিশের দ্বারস্হ হন ওই ব্যক্তি। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে এই টাকা ওই শিশুর পিতার মোবাইল থেকে ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে খরচ করা হয়েছে। পরে পুলিশের সন্দেহ হলে ওই শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিশু সব স্বীকার করে এবং সে ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি বলে জানায়।
ওই শিশু জানায়, ৮০ রুপিতে সে গেমটি ডাউনলোড করে খেলা শুরু করে সে। প্রথম দিকে প্রতিটি লেভেল পার হওয়ার জন্য ৫০০ রুপি কাটা যেত তার বাবার একাউন্ট থেকে। গত ১৪/১৫ দিন আগে একটি বিশেষ লেভেল পার হওয়ার জন্য বাবার একাউন্ট থেকে ১৮,০০০ রুপি খরচ করে সে।
এদিকে টাকা তার ছেলেই খুইয়েছেন জানতে পেরে পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগ তুলে নিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
আগামী দিনের প্রজন্ম দিনে দিনে মোবাইল ফোনের দিকে একভাবে তাকিয়ে নষ্ট হচ্ছে চোখের অংশ। অভিভাবকের দাবী এ ধরনের গেমস যদি সরকার বন্ধ না করে তাহলে আগামী দিনের প্রজন্মরা খেলাধুলার মান হারিয়ে ফেলবে বলে মনে করছেন অভিভাবক বৃন্দরা। বাচ্চাদের পড়াশোনার মনোযোগী করতে হচ্ছে হিমশিম খেতে।
অপর দিকে দেখা যাচ্ছে শিশু ও যুবকদের পড়াশোনা দিক থেকে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। বিষয়টি উদ্ধতন কর্মকর্তার নিকট এ ধরনের গেম টি বন্ধ করার দাবী জানান।