কুষ্টিয়ার মিরপুরে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে দফায় দফায় ছাত্রী কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ ওই শিক্ষার্থীকে রবিবার ফজরের নামাজের আগে এবং একই দিন রাতে দুদফা ধর্ষণ করেন মাদ্রাসা সুপার। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান ওই সুপার।
উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ধর্ষিত শিক্ষার্থীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাদ্রাসা ঘেরাও ও ভাঙচুর করেছে।
পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা ওই মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী। সপ্তাহের ৬ দিন সে ওই মাদ্রাসায় থাকতো। প্রতি শুক্রবার সকালে তার বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যেত, আবার শনিবার সকালে পৌঁছে দিত মাদ্রাসায়। গত শনিবার সকালে মেয়েটির বাবা তাকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেন। পরে ভোর রাতে ফজরের সময় মাদ্রাসার সুপার ম্ওালানা আব্দুল কাদের মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। রাত ৮টার দিকে মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে দ্বিতীয় দফা ধর্ষণ করেন তিনি।
সুপার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য মেয়েটিকে শাসিয়েও দেন। তবে মেয়েটি সোমবার সকালে তার এক সহপাঠিকে বিষয়টি জানায়। আর ওই সহপাঠি ঘটনাটি নিজের বাবাকে জানালে তা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা মাদ্রাসায় হামলা চালায়। তারা ভাঙচুরও করে ওই মাদ্রাসায়।
ঘটনায় জড়িত আব্দুল কাদেরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী ও ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা। এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
মেয়েটির বাবা এ ঘটনায় আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান মজনু সহ এলাকার মানুষ ওই মাদ্রাসা সুপারকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
মিরপুর থানার ওসি আবুল কালাম বলেন. মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ভিকটিমকে উদ্ধার করে মেডিকেল টেস্টের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপারকে আটক করা হয়েছে।