আরাফাত হোসেন, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া মজমপুর গেট থেকে টোকেন দিয়ে অটোরিকশা ও মাহেন্দ্র থেকে স্থানীয় মাহাফুজ ও নেংরা শরীফের বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। মজমপুর থেকে মিরপুর এলাকা পর্যন্ত চলাচলরত অটোরিকশা থেকে দৈনিক ২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। এছাড়া লেগুনা, মিনিবাস ও মাহিন্দ্র থেকেও ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়।
নাম প্রকাশে একজন অটো রিক্সা চালক বলেন, প্রভাবশালী মাহফুজ ও নেংরা শরীফ তার দলীয় লোকজনকে টাকা দিলে তারা অটোরিকশায় একটি টোকেন নম্বর লিখে দেওয়া হয়। ওই টোকেন না থাকলে কেউ মজমপুর থেকে মিরপুরের সড়কে অটো চালাতে পারে না। এছাড়াও টাকা না দিলে তাদের অটোরিকশা আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ করেন। বিষয় টি ট্রাফিক অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টি আই আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের অবগত হলে তাৎক্ষনিকভাবে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং মাহফুজ পালিয়ে গেলেও নেংরা শরীফকে আটক করেন কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুষ্টিয়া মজমপুর থেকে বিভিন্ন এলাকায় সড়কে দুই শতাধিক অটোরিকশা চলাচল করে। প্রতিদিন এসব রিকশা থেকে ২০ টাকা ও মাসে ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে মাহফুজ ও নেংরা শরীফের লোকজন। এমনকি মহাসড়কে চলাচলরত দেড় শতাধিক মিনিবাস ও লেগুনাকে প্রতিদিন ৫০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে শরীফ নামে একজন আটক করা হয়েছে। ভবিষ্য এ ধরনের কেউ যদি চাঁদা আদায় করে তাহলে কঠোরভাবে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।