1. riajul.kst1@gmail.com : riajul :
  2. riajul.kst@gmail.com : riajul.kst@gmail.com :
রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

দৌলতপুরের গো-খাদ্যের আকাশ ছোয়া দাম -বিপাকে খামারিরা

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০
  • ৪০৮ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

দৌলতপুর প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকটে পড়েছে খামারি ও প্রান্তিক গরুর মালিকরা। এতে হাতের কাছে থাকা গরুর প্রধান খাবার খড় এখন ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। দিন দিন দাম বেড়ে যাওয়ায় হতাশ খামারি ও প্রান্তিক গরুর মালিকরা। ফলে বাধ্য হয়েই কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে কষ্ট করে লালন পালন করা গরুগুলো।
১০০ আঁটি খড়ের দাম দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন গরুর খামারিরা। প্রতিদিন একটি গরু প্রায় ২০-২৫টি খড়ের আঁটি খেয়ে থাকে। তাই প্রতিদিন একটি গরুর জন্য প্রায় ৩’শ টাকা খরচ হয়। এতো বেশি দামে খড় কিনে খাওয়ানো অসম্ভব। তাই খামারিদের লাভ তো দুরের কথা লোকসানের ঘানি টানতে হচ্ছে। এ বছরে টানা ভারী বর্ষনের কারনে গরু, মহিষ চরানো ভূমি বিস্তীর্ন মাঠ দীর্ঘদিন জলমগ্ন হয়ে থাকায়। দফায় দফায় ভয়াবহ বন্যায় দৌলতপুর উপজেলার প্রায় সব গ্রামে পানি উঠায় এবং দীর্ঘদিন পানি থাকায় ও সংরক্ষিত ধানের খড় বন্যার পানিতে নষ্ট হওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে।
ফলে অনেক লোকসান দিয়ে গরু-মহিষ বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। বন্যায় খতিগ্রস্থ এসব এলাকার গবাদী পশুকে মাঠে ঘাস খাওয়াতে না পেরে সংরক্ষিত থাকা কিছু খড় খাওয়ানো শেষে বিপাকে পড়েছেন এ উপজেলার সব কৃষক,খামারীরা। সোমবার (১২ অক্টোবর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এসব চিত্র। উপজেলার পুর্বপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়া, সেন্টার মোড় গ্রামের হাসেম উদ্দিন, বোয়ালিয়া গ্রামের মকছেদ, বড়গাংদিয়া হাট বাজারে গরুর জন্য খড় কিনতে আসলে কথা হয় তাদের সাথে। মকছেদ মিয়া বলেন, আমি ১০-১২ টা গরু নিয়া বিপদে আছি।
বর্তমান বিশ্বে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে রোজগারের পথ প্রায় বন্ধ তার ওপর গবাদীপশুর খাদ্যের দাম আকাশ ছোয়া হওয়ায় উভয় সংকটে পড়তে হচ্ছে খামারীদের।নিজের পেটের ভাত যোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তার উপর গবাদীপশুর খাবারের যোগান দিতে হচ্ছে চড়া দামে।
ফিলিপনগর গ্রামের ইনু মল্লিক বলেন, আমার খামারে ছোট বড় মিলায়ে ৭০ টি গরু আছে চরের মাঠে গরু চরানোর মতো জাগা নাই সব মাঠে পানি জমে আছে খালি জাগা নাই। তাই চরের মাঠ থেকে সব গরু বাড়িতে এনে রেখেছি এতগুলো গরুকে খাবার কিনে খাওয়াতে চরম হিম শিম খেতে হচ্ছে, ইতি মধ্যে ৪টা গরু বিক্রি করে গত ৩ মাস যাবৎ খড় কিনে খাওয়াচ্ছি কিন্তু খড়ের দাম হু-হু করে বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে আছি।
খড় ব্যবসায়ী জামাত আলী জানান, আমরা খড়ের আটি গুলো যাত্রাবাড়ি, দিনাজপুর ও নওগাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে চড়া দামে কিনে এনেছি। পরিবহন ও শ্রমিক খরচসহ সামান্য লাভে খড়ের আটি এলাকায় বিক্রি করছি।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মালেক এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন উপজেলায় কয়েক দফায় বন্যা ও ভারি বর্ষনের কারনে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পানি কমে গিয়েছিল। কিন্তু আবারও ভারি বর্ষনের কারনে উপজেলার সকল পুকুর জলাশয় গুলো ভরে গেছে এখনো বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চলে পানি রয়েছে। যে কারনে গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর ....

All rights reserved © 2020 tajasangbad.com
Design & Developed BY Anamul Rasel
x
error: Content is protected !!