রাসেল, কুষ্টিয়া : দুর্গতিনাশিনী দশভুজা দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বাঙ্গালী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। আজ বৃহস্পতিবার মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়েই দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। ঢাকের বোল, কাঁসর ঘণ্টা ও শাঁখের ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠেছে পূজামন্ডপ। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পূজায় অনেকটা সীমাবদ্ধ থাকছে মন্ডপগুলো। চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা জেলা পুলিশ কুষ্টিয়া।
আজ সন্ধ্যায় ‘নব যুবসংঘ’ পূজামণ্ডপ পরিদর্শনসহ প্রদীপ প্রজ্বলন করে সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তবৃন্দদের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত, পিপিএম(বার)
জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, বৈশিক করোনা পরিস্থিতির কারনে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের পুজা একটু ভিন্ন ভাবে পালিত হবে। আশা করছি সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পুজা অনুষ্ঠিত হবে।
পুলিশ সুপার এস.এম তানভীর আরাফাত বলেন এবারের পূজায় স্বাস্থ্যবিধির ওপরে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্গাপূজায় ২৩১টি নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ পরিচালক, স্থানীয় সরকার মৃনাল কান্তি দে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক, শিক্ষা ও আইসিটি) লুৎফুন নাহার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান,সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও কল্যান শাখা এবং গোপনীয় শাখা) আহমেদ সাদাত।
প্রসঙ্গত, পঞ্জিকা অনুযায়ী এবার মহালয়া হয় ১৭ সেপ্টেম্বর। কিন্তু পঞ্জিকার হিসাবে এবার আশ্বিন মাস ‘মল মাস’, মানে অশুভ মাস। সে কারণে এবার আশ্বিনে দেবীর পূজা হয়নি। পূজা হচ্ছে কার্তিক মাসে। সেই হিসাবে এবার দেবী দুর্গা ‘মর্ত্যে এসেছে’ মহালয়ার ৩৫ দিন পরে। তাই ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে হয়েছে বোধন। পরদিন সপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গোৎসবের মূল আচার অনুষ্ঠান। আগামী ২৬ অক্টোবর মহাদশমীতে বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।