ভেড়ামারা প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার পশ্চিম বহির চর গ্রামে বাবর আলীর পুত্র হাসান আলি (২৫) একই এলাকার সম্পর্কে মামা মোঃ আমিরুল ইসলামের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা যায় মো বাবর আলী পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রয় করতে চাইলে শ্যালক আমিরুল ইসলাম জমিটি কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করে, কিন্তু জমির পেছনের অংশ বিক্রি করতে চাইলে তারা রাজি হয়। রেজিস্ট্রির সময় তারা কৌশলে সামনের অংশের দাগ নাম্বার লিখে নেয় এবং জমির সামনের অংশ কিনেছে বলে দাবি করে। তারপরেই শুরু হয় মনোমালিন্য। বাবর আলীর স্ত্রী মোছা তাসলিমা খাতুন (৩৫) স্বামী বাবর আলী বাদী হয়ে কুষ্টিয়া কোর্ট এ একটি মামলা দায়ের করে মিস ৬.৬ এবং তারা পরপর দুইবার এই কেসে হেরে যায় শ্যালক। পরে তাদের শুরু হয় নতুন পরিকল্পনা। প্রতিশোধ নেবার জন্য জমির মালিক বাবর আলীর ছেলে হাসান আলী ব্যবসার দোকানের পাশে তারা আরেকটি দোকান করে পাশাপাশি ব্যবসা শুরু করে। তবে শনিবার ৩১-১০-২০ তাং সকাল ৬ঃ৩০ মিনিটের সময় আমিরুল ইসলাম( ৪০) পিতা মৃত আফাজ মালিথা সহ মোঃশাকিল ইসলাম (২১) পিতা আমিরুল ইসলাম, ও আমিন ইসলাম (১৮) পিতা আমিরুল ইসলাম সহ অজ্ঞাত কয়েক জন লোহার এ্যংগেল ও লোহার রড নিয়ে এসে প্রথমে বাবর আলীকে মারধর শুরু করে এবং কাছে থাকা ১৭ হাজার টাকা কেড়ে নেয়।বাবর আলীর চিৎকারে তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন (৩৫) এগিয়ে আসলে তাকেও তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তাসলিমা খাতুন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরে। তার গলায় থাকা একটি স্বর্নের চেন ছিরে নেয় এবং অবস্থা বেগতিক দেখে তারা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাবর আলী ও তার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন কে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি দেখে ডাক্তার কুষ্টিয়া ২৫০ শয্য জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানায় মো বাবর আলীর পুত্র হাসান আলী ভেড়ামারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাজালাল জানান হামলার ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।