আমিন হাসান, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে নিহত পাঁচ জনের জানাজা হয়েছে। এর মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সচালক টিপু সুলতানের (৫০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে নিহত পাঁচ জনের পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করার অনুমতি নেন। তারা মরদেহ নিয়ে যান যশোরে। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালক টিপু সুলতানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নড়াইলের লোহাগড়ায় গ্রামের বাড়িতে।
দুর্ঘটনায় নিহত আরবী খাতুনের খালাত ভাই শাহীনুর রহমান স্বপন জানান, বুধবার সকাল ১০টায় সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামে আরবী খাতুনের ভাই মো. আলীমের আলাদা জানাজা হয়েছে। এরপর যশোরের পুরাতন কসবা ঢাকা রোডের বাইতুস সালাম জামে মসজিদে একসঙ্গে চার জনের জানাজা হয়। তাদের শহরের কারবালা সরকারি গোরস্তানে দাফন করা হবে।
স্বপন আরও বলেন, মরদেহ দ্রুত নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা বাদী হয়ে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ মামলা করলে বুধবার ময়নাতদন্ত করতে হতো। মরদেহ নিয়ে যেতে অনেক দেরি হতো।
কুষ্টিয়ার ভাদালিয়ার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুলহাস তাজা সংবাদকে জানান, দাফন শেষ করে নিহত মফিজ উদ্দিনের মেজো ভাই মো. রফিক এসে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে দুর্ঘটনায় আহত মো. ইনসানকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে রাতেই যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তার স্বজনরা।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার তাজা সংবাদকে বলেন, ইনসানের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাকে যশোরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্বজনরা।
মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের লক্ষ্মীপুর নতুন ব্রিজের কাছে অ্যাম্বুলেন্স ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সের মালিক মফিজ উদ্দিন (৫৭), তার স্ত্রী আরবী খাতুন (৪৫), ছেলে মো. ইফাদ (১৭), আরবী খাতুনের ভাই মো. আলীম (২৭) ও চালক টিপু সুলতান (৫০) নিহত হন।
উদ্ধারকারীরা আরবী খাতুনের আরেক ভাই মো. ইনসানকে আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
যশোরের লিচুবাগান এলাকার আরবী খাতুন পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সুস্থ হয়ে ওঠায় তাকে বাড়িতে আনতে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পাবনা যান পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে তারা বাড়ির দিকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন।