আমিন হাসান, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া দরগা পাড়া গ্রামের পরকীয়ার জেরে এক গৃহবধূ গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জুগিয়া দরগাপাড়ার প্রতিবেশী বখাটের উত্যক্ত ও পরকীয়ার অপবাদ সইতে না পেরে ফাতেমা খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধু গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গৃহবধু জুগিয়া দরগাপাড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় গৃহবধূর স্বামী সাদ্দাম হোসেন ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ মামলার প্রধান আসামী লুলুর ছেলে নাহিদ (২৬) কে আটক করেছে। এ মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, জুগিয়া দর্গাপাড়ার শাকিল (৩২), লুলুর স্ত্রী নাসিমা (৪৩) ও লাটুর ছেলে ফারুক (৩৩)। যার মামলা নং-৫০। গৃহবধুর স্বামী সাদ্দাম হোসেন ও গৃহবধূর মা কামরুন নাহার জানান, পাশের বাড়ির নুরুল ইসলাম লুলু ছেলে বখাটে নাহিদ গৃহবধু ফাতেমাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে গৃহবধু ফাতেমা রাজি না হলে উত্যক্ত ও মিথ্যা অপবাদ দেয়া শুরু করে। এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে গৃহবধুর শাশুড়ি এই প্রতিবেদককে বলেন, গরিবের কোন বিচার নাই আমি কাউন্সিলের কাছে গিয়েছিলাম কাউন্সিলের কথা শুনে নাহিদ সহ তার ভাই, আমাদের উপর নির্যাতন চালায় আমার ঘরের জানালা ভাঙচুর করেন। ফাতেমার শাশুড়ি পুলিশের কাছে বলেন আমার স্বামী বাইরে কাজ করে আমার ছেলে হিসাবে চাকরি করে বাড়িতে পুরুষ মানুষ যখন থাকে না তখন বাড়ির উপরে এসে ভাঙচুর করে নাহিদ শাকিল সহ তার চাচতো ভাই। গতরাত্রে নাহিদ আমার বউ মার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তার ডাক চিৎকারে আসেপাশে লোকজন আসলে ঘর থেকে বেরিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। নাহিদ পালিয়ে যাওয়ার সময় আমার ছেলের বউয়ের গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। নাহিদ তার বাড়ির উপরে প্রতিরাতে জুয়ার আসর বসায়, মাদক বিক্রয় করেন এসব বিষয়ে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়েছেন। এলাকার মানুষ বলেন, নাহিদরা দুই ভাই বিভিন্নভাবে মেয়েদের ফাঁদে ফেলেন।