1. riajul.kst1@gmail.com : riajul :
  2. riajul.kst@gmail.com : riajul.kst@gmail.com :
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

করোনাভাইরাসের টিকা পাবে সবাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০
  • ৩৪৪ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

করোনাভাইরাসের টিকা এলে পর্যায়ক্রমে সবাই তা পাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগ ও অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্স উদ্বোধন করে তিনি বলেন, টিকা যাতে সবাইকে দেওয়া যায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
“বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এবং সেই ব্যবস্থা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। যার যেখানে যখন প্রয়োজন হবে। ভ্যাকসিন যখন অ্যাভেইলেবল হবে, তখন আমরা এটা দিতে থাকব। বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সেই ব্যবস্থা রেখেছে।”
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনাভাইরাসের যে টিকা তৈরি করছে, তার তিন কোটি ডোজ কিনতে ইতোমধ্যে চুক্তি করেছে সরকার।
এছাড়া গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস-গ্যাভি বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে, যা আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাংলাদেশের হাতে আসতে পারে বলে সরকার আশা করছে।
করোনাভাইরাসের কার্যকর টিকা পাওয়া গেলে তা যাতে সারা বিশ্বের মানুষ পায়, তা নিশ্চিত করতে কয়েক মাস ধরে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যাভি।
গতবছরের শেষে চীন থেকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরনের এ করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে ছয় কোটির বেশি মানুষকে আক্রান্ত করেছে, কেড়ে নিয়েছে ১৪ লাখ ২২ হাজার মানুষের প্রাণ।
বাংলাদেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে সাড়ে চার লাখ পেরিয়ে গেছে, সাড়ে ছয় হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে এ ভাইরাস।
কার্যকর কোনো ওষুধ না থাকায় করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য পুরো বিশ্ব এখন তাকিয়ে আছে টিকার দিকে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে ভ্যাকসিন এলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও পাবে। প্রথমে ৩ শতাংশ দেবে, পরে তাদের কাছেও (ডব্লিউএইচও) ভ্যাকসিন আসবে তখন বাকি ১৭ শতাংশ বিভিন্ন দেশকে দিতে থাকবে। আমরাও সেখান থেকে পেতে থাকব।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যাভি কাদের তৈরি করা ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে দেবে, তা এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সেবা আগের চেয়ে ‘উন্নত হয়েছে’ বলেই কোভিড সংক্রমণ মোকাবেলায় বাংলাদেশ অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছে।
“আমাদের কোনো কাজ থেমে নেই। করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত আছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব ধরনের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।”
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ‘এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আছে’ মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এটা ধরে রাখতে সবার সহযোগিতা চান।
“এটা যেন আর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়। স্বাস্থ্য বিভাগের একার পক্ষে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব না। সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে, নিয়ম মানতে হবে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদসহ চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর ....

All rights reserved © 2020 tajasangbad.com
Design & Developed BY Anamul Rasel
x
error: Content is protected !!