রিয়াজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া: শহরে ব্যস্ত রাস্তায় ঝাঁকে-ঝাঁকে মোটর সাইকেল রাস্তা কিংবা অলিগলি দিয়ে এঁকে-বেঁকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। কুষ্টিয়া শহরের নভেম্বর মাসেই প্রায় ১০জন মত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে প্রায় ২০ এর বেশি। বর্তমানে কুষ্টিয়া ও ঢাকাসহ জায়গাতে চিকিৎধীন আছে। কেউ হয়েছেন পুঙ্গত্ব। যা একটি সংসার নষ্টের দিকে। স্বামী থাকা স্বত্বেও হচ্ছে আধা বিধবা। সংসারে ধরছে বড় ক্ষতি। শহরে নতুন নতুন আসছে মোটর সাইকেল যেন বাহারি এক আনন্দ মেলা । মাইক বাজিয়ে শহরের অলিগলিতে চালাচ্ছে গাড়ী বিক্রিয়ের নতুন নতুন অফারের ঘোষনা। এ শহরে প্রায় ৫০ টারও বেশী রয়েছে মোটর সাইকেলের শোরুম। ফলে কিশোররা ঝুকছে বাই সাইকেল ফেলে মোটর সাইকেল। কলেজে বা বন্ধদের সাথে আড্ডা দিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শহরের। শহরে হচ্ছে যানযট বোঝার উপর নেই এখানে রাস্তা আছে কি না?
দুর থেকে দেখা গেল একজন মাটর সাইকেল আরোহী এবং একজন অটো চালকের মধ্যে ঝগড়া চলছে।
কেন এই ঝগড়া? এগিয়ে জিজ্ঞেস করতেই অটো রিক্সা চালক মো: সিরাজ তীব্র ক্ষোভ ঝাড়লেন মোটর সাইকেলে আরোহীর বিরুদ্ধে। ততক্ষণে মোটর সাইকেল আরোহী চলে গেছেন।
বাংলাদেশে, বিশেষ করে শহরে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মোটর সাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশ বেড়েছে।
এ বাহনটি দিনে-দিনে যেমন জনপ্রিয় হচ্ছে, তেমনি মোটর সাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া আচরণের অভিযোগও জোরালো হচ্ছে। একই সাথে মোটর সাইকেল আরোহীদের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান ও ভারী হচ্ছে।
বিপদজনক বাহন হিসেবে মোটর সাইকেলের পরিচিতি থাকলে কুষ্টিয়ার মতো শহরগুলোতে চলাচলের জন্য অনেকেই এটিকে বেছে নিচ্ছেন।
তীব্র যানজটের শহরে দ্রুত গতিতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাবার জন্য মোটর সাইেকেলের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন চালকরা।
সাধারণ জনগণ মনে করছেন মোটর সাইকেল একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাহন।
তাই শহরের বিভিন্ন জায়গায় সুযোগ পেলেই বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালানো একটি নিত্য-নৈমত্যিক ঘটনা।
তাছাড়া রাস্তায় নেই কোন সিগন্যালে বাতি। যে যেমন যাচ্ছে, ছুটছে যেন কেউ কারোর চেয়ে কম। বাঁধা দিলে বলে আমি অমকের ছেলে। এতে বিরোম্বনা পোহাতে হয় ডিউটি রত পুলিশদের।
পুলিশ বলছে, বেপরোয়া মোটরবাইক চালানোর বিরুদ্ধে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু আরোহীদের সচেতনতা এবং মানসিকতা না বদলালে এটি পুরোপুরি বন্ধ করা মুশকিল বলে মনে করছে পুলিশ।