রিয়াজুল ইসলাম সেতু, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া শহরের ৫ রাস্তার মোড়ে পৌরসভার নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে ভাঙচুর মামলার প্রধান দুই আসামী মাদ্রাসা ছাত্র নাহিদ ও মিঠুনকে ৫ দিন ও সহযোগী দুই শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফ আলীর ৪ দিন করে পুলিশ রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে শুনানী শেষে বিচারক মোঃ এনামুল হক এই পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় আসামীদের পক্ষে কোন আইনজীবী ছিল না। আসামীরা আদালতে নিজেদেরকে নির্দোশ দাবী করেন নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দ্বী বলেন, আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে আসামীদের কঠোর নিরাপত্ত্বা বলয়ে আদালতে আনা হয়। সাড়ে ১১টায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। ১০ মিনিটের শুনানী শেষে বিচারক ১০ দিনের আবেদনের স্থলে দুই মাদ্রাসা ছাত্র মিঠুন ও নাহিদকে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরা দুইজন বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাংচুরের সাথে সরাসরি জড়িত। আর এদের সহযোগী দুই শিক্ষক আসামী আল আমিন ও ইউসুফ আলীকে ৭ দিনের আবেদনে ৪ দিন করে পুলিশ রিমান্ড দেন। এসময় কুষ্টিয়া আদালতে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। পরে অতিরিক্ত পুলিশি পাহারায় আসামীদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে গতকাল আসামীদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি তদন্ত নিশিকান্ত দুই ছাত্রের ১০ দিন ও সহযোগী দুই শিক্ষকের ৭ দিন করে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত আজ রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করেন।
৪ ডিসেম্বর গত শুক্রবার রাত ২টা ১৬ মিনিটে অভিযুক্ত আসামী মাদ্রাসা ছাত্র সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ ও আবু বক্কর ওরফে মিঠুন হাতুড়ি দিয়ে কুষ্টিয়া শহরের ৫ রাস্তার মোড়ে নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে ভাংচুর করে। পরে তাদের ভাষ্যমতে সহযোগীতা করার অপরাধে একই মাদ্রাসার শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার ও এই মামলার আসামী করা হয়। এরা কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পশ্চিমপাড়ার ইবনি মাসউদ মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক।