কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ঃ কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের শ্রী শ্রী মহামায়া আজইল সার্বজনীন দূর্গাপূজা মন্দিরের নামে মাঠাম ৩৫ শতক জমি নিয়ে দুই মন্দির কমিটির কাড়াকাড়ি করার খবর পাওয়া গেছে।এনিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের ও বসাবসি করেও কোন সুরহা হয়নি।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ সালের পূর্বে আজইল গ্রামে কোন মন্দির ছিলনা।যুগযুগ ধরে ভাসমানভাবে এবছর একবাড়ি ওবছর আরেক বাড়ি সার্বজনীন দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল।এক পর্যায়ে প্রায় ৫০ বছর আগে মৃত সত্যেন্দ্রনাথ রায় ও মৃত দ্বিরেন্দ্রনাথ রায় শ্রী শ্রী মহামায়া আজইল সার্বজনীন দূর্গাপূজা মন্দিরের নামে মাঠাম ৩৫ শতক জমি দান করেন (উত্তর আজইল মৌজা খতিয়ান নং ৪৮৯ এবং দাগ নং ২১৪৮)। ২০১৬ সালে আজইল সার্বজনীন দূর্গাপূজা মন্দির স্থাপিত হয়।যাহার নিবন্ধন নম্বর কুষ্টিয়া -৯৪। কিন্তু উক্ত মন্দিরের নামের জমি ভোগদখলের জন্য এক সালে আজইল দুর্গাপূজা মন্দির নামে আরো একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করে শ্রী শ্রী মহামায়া সার্বজনীন দূর্গাপূজা মন্দির জায়গা জবরদখল করে স্থানীয় আব্দুল মান্নানকে ১২ হাজার টাকা দরে লিজ দিয়েছে। কিন্তু শ্রী শ্রী মহামায়া সার্বজনীন দূর্গাপূজা মন্দিনের কর্তৃপক্ষ দখল নিতে গেলে নানান ভয়ভীতি দেখায়।
এবিষয়ে আজইল শ্রী শ্রী সার্বজনীন দূর্গাপূজা মন্দিরে সভাপতি গৌর গোপাল বিশ্বাস বলেন, এলাকায় কোন সার্বজনীন মন্দির ছিলনা।যুগযুগ ধরে আজ এবছর একবাড়ি ওবছর আরেক বাড়ি পূজা অনুষ্ঠিত হত।এরপর ২০১৬ সালে শ্রী শ্রী মহামায়া সার্বজনীন দূর্গাপূজা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রায় ৫০ বছর আগে সত্যেন্দ্রনাথ রায় ও দ্বিরেন্দ্রনাথ ৩৫ শতক জমি দান করে।কিন্তু উক্ত জমি ভোগ দখলের জন্য নারু গোপাল পাল, চন্ডিচরন দাস,রতন কুমার হাজরা সহ অনেকে আরেকটি মন্দির প্রতিষ্ঠিত করে। তিনি আরো বলেন,ওদের মন্দির সার্বজনীন নয়, শুধু আজইল দূর্গাপূজা মন্দির।
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রান্তোষ মজুমদার তাজা সংবাদকে বলেন, এবিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও ফল পাইনি।ওরা ক্ষমতা দেখিয়ে ভোগ দখল করছে।তিনি আরো বলেন,আমাদের মন্দির নামের জমি আমরা মন্দির জন্য ফেরত চাই।
এবিষয়ে আজইল দূর্গাপূজা মন্দিরের রতন কুমার হাজরা মুঠোফোনে বলেন, আমি এলাকার বাইরে আছি, ওদের অভিযোগ মিথ্যা।যুগযুগ ধরে জমি আমাদের দখলে।
এবিষয়ে খোকসা থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার তাজা সংবাদকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।১৯ ডিসেম্বর থানায় বসাবসি আছে।তিনি আরো বলেন, যার বৈধ কাগজপাতি আছে, জমি তার।