ঢাকা অফিস : প্রথম ধাপের ২৪টি পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হলো। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে সব ধরনের প্রচারণা শেষ হয়েছে। পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা আগে থেকে সব ধরনের প্রচার প্রচারণা বন্ধ থাকবে। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সবকটি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট নেওয়া হবে।
এ ধাপে ২৩টি জেলায় ২৪টি পৌরসভায় ভোট হবে। নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব (পরিচালক-জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানান, তারা সারাদেশ থেকে রিপোর্ট নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে, খারাপ কোনও প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, নির্বাচনি এলাকায় আচরণবিধি প্রতিপালনে ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
গত ২২ নভেম্বর প্রথম ধাপের ২৫টি পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। নির্বাচনী মাঝপথে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী মারা যান। ওই পৌরসভায় ১৬ জানুয়ারি ভোটের দিন নির্ধারণ করে পুন:তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ২৪টি পৌরসভায় ২৮ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৯৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮৪৮জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৭৭জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিটি পৌরসভায় একজন মেয়র, তিনজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও ৯জন করে সাধারণ কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন। প্রথম ধাপের সবকটি পৌরসভায় ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটের পরপরই ফল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পৌরসভা নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন পরিকল্পনা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রতিটি পৌরসভায় পুলিশ ও আনসারের একটি করে স্ট্রাইকিং ও তিনটি করে মোবাইল ফোর্স ও র্যাবের তিনটি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ১০ হাজারের কম ভোটারের পৌরসভার জন্য এক প্লাটুন বিজিবি সদস্য, ১০ হাজারের বেশি ভোটারের পৌরসভার জন্য দুই প্লাটুন ও ৫০ হাজারের বেশি ভোটারের জন্য তিন প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকছে। শনিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এসব সদস্য মাঠে নেমেছেন। এ নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রের পাহারায় ১১ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) কেন্দ্রে ১৩ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।