1. riajul.kst1@gmail.com : riajul :
  2. riajul.kst@gmail.com : riajul.kst@gmail.com :
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ধান-চালের ব্যবসা করতে পারবে না অবৈধ ব্যবসায়ীরা : খাদ্যমন্ত্রী নীল ছবি চলল টানা ৩ মিনিট রেলস্টেশনের টিভিতে হঠাৎ বিএনপির ১০ দফা দাবী নিয়ে সরকার ও জনগণ এখন ভাবছে না, তাদের দাবী তাদের কাছে রাখুক : কুষ্টিয়ায় মাহবুবউল আলম হানিফ পুলিশের অভিযানে চোরাই মোটরসাইকেল সহ দুইজন গ্রেফতার খোকসায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও অবৈধ মজুদ রোধে প্রস্তুতিমূলক সভা কুষ্টিয়ায় নানা আয়োজনে ওয়ালটন ডে পালিত বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম শেষ, তাদের নিয়ে ভাবনার কিছু নেই: কুষ্টিয়ায় মাহবুবউল আলম হানিফ কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আল্লেকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ঢাকাগামী বাস উল্টে নিহত ১৬ বিদেশীদের কাছে বিএনপির দৌড় ঝাপ বা কোন ধরনের ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না : মাহাবুব উল আলম হানিফ

কুষ্টিয়ায় সন্তানদের মসজিদে নিয়ে নামাজ পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে: আসলাম হোসেন

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৪৫৬ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

রিয়াজুল ইসলাম সেতু, কুষ্টিয়া : সন্তানদের মসজিদে নিয়ে নামাজ পড়ার অভ্যাস গড়ার কথা জানালে জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন। আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায়ের আগে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট জামে মসজিদে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন পৃথিবীর প্রায় সব বাবা-মা ও অভিভাবকই চায়, তার সন্তান নামাজি ও সৎ চরিত্রের অধিকারী হোক। কিন্তু চাওয়ার সঙ্গে তাদের কর্মের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। নিজেরা নিয়মিত মসজিদে গেলেও নিজ সন্তানকে মসজিদে নিয়ে যেতে চান না। শিশু মসজিদে যেতে চাইলেও নানান অজুহাতে তাকে বাসায় রেখে যান।


বাচ্চারা ছোটবেলা থেকে মসজিদে না এলে মসজিদে আসার ব্যাপারে উৎসাহিত হবে কি করে? জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব বুঝবে কি করে? এমনটি হলে কি সন্তান নামাজি হবে?
শিশু বয়স থেকেই তাকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদে যেতে হবে। গড়ে তুলতে হবে মসজিদমুখী প্রজন্ম। তবেই সন্তান হবে নামাজি ও সৎ চরিত্রের অধিকারী। এ কারণেই সুন্দর ও অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে মসজিদমুখী প্রজন্ম গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
শিশু বয়স থেকেই সন্তানকে মসজিদমুখী প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়মিত নামাজসহ প্রত্যেক জুমআর দিন শিশুকে উত্তম পোশাক পরিয়ে মসজিদে নিয়ে যেতে হবে। শেখাতে হবে মসজিদের আদব, করণীয় ও বৈশিষ্ট্য। তবেই তারা পাবে একটি সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
মসজিদের পাশ্ববর্তী বাসা-বাড়ির শিশুরা আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে যেতে আত্মহারা হয়ে ওঠে। অনেক অভিভাবক নিজেরা নামাজে গেলেও শিশুদের মসজিদে নিতে চান না। আবার অনেক মানুষ আছেন যারা শিশুদের মসজিদে আসাকে বিরক্ত মনে করেন।
‘না’, এমনটি হলে মসজিদমুখী প্রজন্ম গড়ে ওঠবে না। বরং শিশুর ছুটাছুটি, চেঁচামেচি ও কান্নাকাটি ধৈর্যের সঙ্গে সহ্য করে তাদের বুঝাতে হবে যে, মসজিদ আল্লাহর ঘর। এখানে নিরবে সুন্দর ও উত্তম পরিবেশে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করতে হয়। তবেই শিশু শিখবে মসজিদের আদব। আর এসব শিশুদের পদচারণায় আবাদ হবে মসজিদ। গঠন হবে সুন্দর ও অপরাধমুক্ত শান্তিপূর্ণ সমাজ।
শিশুদের মসজিদমুখী করা অভিভাবকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। মসজিদে নিয়ে আসা থেকে বেঁচে থাকতে কোনোভাবেই শিশুর সামনে মিথ্যা অজুহাত দাঁড় করানো ঠিক নয়। কারণ একদিকে মিথ্যা অজুহাতে যেমন গোনাহ হয় আবার সন্তানও মসজিদবিমুখ হয়ে পড়ার আশংকা তৈরি হয়। বড় হওয়ার পর চাইলেও এ সন্তানের মসজিদমুখী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
আমাদের মনে রাখতে হবে মসজিদমুখী প্রজন্ম গড়ে তুলতে, শিশুদের পদচারণায় মসজিদ মুখরিত রাখতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জীবন থেকেই মুসলিম উম্মাহকে শিক্ষা নিতে হবে। তিনি মসজিদে শিশুদের নিয়ে আসতেন।
নামাজ পড়াকালীন সময়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিশুদের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছেন তাও জানতে হবে। কেননা এসব বিষয় জানার মধ্যেই রয়েছে মসজিদমুখী প্রজন্ম গড়ে তোলার অনুপ্রেরণা।
হাদিসের বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রিয় নাতি হজরত ইমাম হাসান ও হুসাইন নামাজ চলাকালীন সময়ে প্রিয় নবির সঙ্গে কী করতেন?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সেজদায় যেতেন, তখন তাঁরা প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাধে চড়তেন। যে কারণে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সময় সেজদায় দীর্ঘ সময় ব্যয় করতেন। এ কারণে কখনও তিনি নাতিদের সঙ্গে রাগ বা খারাপ আচরণ করেননি।
সম্প্রতি সময়ে শিশু-কিশোরদের মসজিদমুখী করতে দেশে কিংবা দেশের বাইরে নানা আয়োজনের খবর পাওয়া যায়। যদি ছোট্ট বয়স থেকে শিশুকে মসজিদমুখী করা যায়। শিশুদের পদচারণায় মসিজদ আবাদ করা যায় তবে কোনো কিশোর কিংবা যুবককে মসজিদমুখী করতে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রয়োজন হতো না।
পাড়া, মহল্লা, উপজেলা, জেলা কিংবা বিভাগীয় শহরসহ অনেক স্থানে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ প্রতিষ্ঠা হলেও শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই মুসল্লি শূন্য থাকে এসব মসজিদ। যে কারণে নানা পুরস্কার কিংবা অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়ে শিশু-কিশোরদের মসজিদমুখী করার আয়োজন করার প্রয়োজন হয়।
ছোট্ট বয়স থেকে শিশুদের পদচারণায় মসজিদ আবাদ হলে এমনিতেই মসজিদমুখী প্রজন্ম গড়ে ওঠবে। সুন্দর ও অপরাধমুক্ত সমাজ তৈরি হবে। সমাজে অশান্তি ও অন্যায় কমে যাবে। মাদকের ছোবল, হত্যা, ধর্ষণের মতো মারাত্মক জঘন্য অপরাধ থেকে মুক্ত হবে সমাজ।
শিশুদের জন্য মসজিদ শুধু নামাজের স্থানই নয়, বরং তারা মসিজদে খেলাধুলা করবে, দৌড়াদৌড়ি করবে, আনন্দ করবে। আর নামাজের সময় হলে ইমামের সঙ্গে জামাআতে অংশগ্রহণ করবে। পাড়া কিংবা মহল্লা সব শিশু মসজিদে এলে পরস্পরের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হবে। মুরব্বিরা পাবে যথাযথ সম্মান। সুন্দর সামাজিক সুসম্পর্ক তৈরি হবে। পরস্পরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে আজকের শিশু। যারা হবে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
সুতরাং মসজিদে কোনো ছোট্ট শিশু আসলে তাকে অসহযোগিতা নয়, বরং উৎসাহ দিতে হবে। শিশুদের বিরক্তি ও বিভিন্ন বিষয়গুলো সহ্য করতে হবে।
দেশের প্রতিটি মসজিদে শিশুদের অংশগ্রহণ বাড়লে, শিশুদের পদচারণায় মসজিদ মুখরিত হলে, নিয়মিত নামাজে শিশুদের অংশগ্রহণে মসজিদ আবাদ হলে কমে যাবে অপরাধ প্রবণতা। কুরআনের আলোয় আলোকিত হবে ব্যক্তি পরিবার সমাজ ও দেশ।
আসুন, মসজিদমুখী প্রজন্ম গড়ে তুলি। প্রতিদিনের নামাজসহ সাপ্তাহিক জুমআর নামাজে শিশুদের নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হই। শিশুদের পদচারণায় মুখরিত হোক মসজিদ। সুন্দর শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণের কার্যক্রমে অশংগ্রহণ করি। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। জেলা প্রশাসক মসজিদে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে করে এসব কথা বলেন। পরিশেষে তার ও তার পরিবারের দোয়া চেয়েছেন সবার কাছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর ....

All rights reserved © 2020 tajasangbad.com
Design & Developed BY Anamul Rasel
x