ঢাকা অফিস : জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমাবেশে যোগ দিতে দলীয় নেতাকর্মীরা জড়ো হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন ছাত্রদল কর্মীরা। পুলিশ রাবার বুলেট টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
এ সংঘর্ষ চলাকালীন একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওটি অনেকেই ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। সেই সঙ্গে অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ছাত্রদলের এক কর্মী (নাম জানা যায়নি) বিশাল এক বাঁশ নিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হন। তার সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য কিন্তু তিনি একা। একাই তিনি বিশাল বাঁশটি নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করেন। শেষে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বাঁশ দিয়ে মারতেও দেখা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর এই ভিডিওর একটি ছবি নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘যৌবনের ধর্ম অন্যায়ের সাথে আপস না করা, যৌবনের ধর্ম অন্যায়কে রুখে দাঁড়ানো। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে পেটোয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
ছাত্রদলের পূর্ব ঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশ ছিলো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপি মহাসচিবের। এ লক্ষ্যে ছাত্রদলসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন প্রেসক্লাব এলাকায়। কিন্তু পূর্বানুমতি না থাকার কথা বলে প্রেসক্লাবের বাইরে অবস্থা নেয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। আর ছাত্রদল নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয় প্রেসক্লাবের ভেতরে। পুলিশের দাবি প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ জুয়েলসহ ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শাহবাগ থানার পুলিশ কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, সংঘর্ষে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। এখন প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।