ঢাকা অফিস : প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণ করতে ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এ বাদপড়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি করতে সময় বাড়ানো হয়েছে। চতুর্থ দফায় ১৫ থেকে ২৫ মার্চ এই ১০ দিন সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে বাদপড়া শিক্ষার্থীরা সোমবার থেকে সার্ভারে ডাটা এন্ট্রি করতে পারছে।
জটিলতার কারণে অনেক শিক্ষার্থী সার্ভারে তথ্য এন্ট্রি করতে পারেনি। ফলে গত ৪ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রির জন্য চতুর্থ দফা সময় বাড়িয়ে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়। কিন্তু এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না বলেও জানানো হয় নির্দেশনায়।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের চতুর্থ কিস্তির (এপ্রিল-জুন/২০২০) উপবৃত্তির অর্থ বিতরণের সময় প্রথম ধাপে সুবিধাভোগীদের তথ্য ও দ্বিতীয় ধাপে চাহিদাপত্র এন্ট্রি করা হয়েছিল। দুটি পর্যায়ে কাজ করতে বেশি সময়ক্ষেপণ হয়েছে। এ জন্য এখন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একবারেই চাহিদাসহ সুবিধাভোগীদের তথ্য এন্ট্রি করতে হবে।
এ বিষয়ে কোনো সমস্যা বা অস্পষ্টতা থাকলে ডাটা এন্ট্রির নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রধান শিক্ষককে জেলা মনিটরিং কর্মকর্তা বা নগদ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কিংবা প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
উপবৃত্তি প্রকল্প থেকে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ও (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কিস্তির সুবিধাভোগীর ডাটা এন্ট্রির জন্য নগদ পোর্টাল উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রথম কিস্তির ডাটা এন্ট্রির পর দ্বিতীয় কিস্তির ডাটা চালু হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এর আগে সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় দফা তথ্য দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এরপরও যারা বাকি ছিল তাদেরও উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে।