আমিন হাসান, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় শিশুকে মৃত ঘোষণা, হাসপাতাল ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে । আজ (শুক্রবার) দুপুরে কুমারখালী উপজেলার জয়নাবাদ চরপাড়া খেলা করার সময় পানিতে ডুবে হামিম নামের ৮ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আজ দুপুরের দিকে হামিম খেলা করার সময় পানিতে পড়ে যায়। স্থানীয় একজন তাকে পানিতে পড়তে দেখে ঘটনাস্থলে তাড়াতাড়ি করে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। লাশ মগে প্রেরণ করেন। ঘটনার তাৎক্ষনিক পর আত্মীয় স্বজনরা মর্গে আশপাশ কান্নাকাটি করতে থাকলে হঠাৎ করে শুনতে পারে শিশুটির চিৎকার ও শিশুটি নড়েচড়ে উঠেছে বলে এবং ওই শিশু জীবিত আছে বলে স্বজনরা হৈচৈ শুরু করে। পরে পূনরায় শিশুটিকে হাসপাতালের ইমারজেন্সী তে ইসিজি করার জন্য নিয়ে আসা হয়। সেখানে ইসিজি করাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে হট্টগোল শুরু করে রোগীর স্বজনসহ উপস্থিত লোকজন। এক পর্যায়ে তারা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়ায় জেনারেল হাসপাতালে জরুরী বিভাগে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করতে থাকতে। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ এসে পপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ডাক্তাররা পূণরায় শিশুটির ইসিজি করায় এবং তাকে মৃত যোষণা করে। এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার বলেন, আমি নিজে শিশুটিকে পরিক্ষা করে দেখে মৃত ঘোষণা করে লাশ মর্গে পাঠায়।সেখানে শিশুটির পেটে চাপ দিলে পানি বের হওয়ার শিশুটির স্বজনরা মনে করেন তার বাচ্চা জীবিত আছে।পরে শিশুটিকে ইমারজেন্সী তে নিয়ে আসলে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে।আমরা শিশুটির ইসিজি করেছি এবং লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত হামিম (৮) কুমারখালী উপজেলার জয়নাবাদ চরপাড়া এলাকার হারুনের ছেলে।