আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রবাসী ব্যবসায়ীরা জার্মানিতে দীর্ঘ লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত । জার্মানিতে দীর্ঘ লকডাউনে নাকাল স্থানীয়সহ প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় দেশটির হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ নানা খাতে কর্মরত প্রবাসীদের দুশ্চিন্তা আরো বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট।
নতুন করে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত জার্মানির অর্থনীতি। সেই সঙ্গে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। মার্কেল সরকারের দেয়া প্রণোদনার পরও লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়সহ দেশটিতে বসবাসরত হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা। চলমান লকডাউনের সময়সীমা আরেক দফা বেড়ে যাওয়ায়, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কায় প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
বাংলাদেশি এক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এতে আমাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।
এদিকে, লকডাউনে কাজের পরিধি কমে আসায় দেশে পরিবার-পরিজনের কাছে টাকা পাঠানো নিয়ে উদ্বিগ্ন এই খাতের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি কর্মচারীরাও।
শুধু রেস্টুরেন্ট ব্যবসা নয়, লকডাউনের কবলে পড়ে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন। এই অবস্থায় অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মতো জার্মানির প্রবাসী ট্রাভেল এজেন্সী ব্যবসায়ীদেরও অবস্থা শোচনীয়।
বাংলাদেশি এক ট্রাভেল ব্যবসায়ীরা জানান, করোনার কারণে কেউ কেউ ভ্রমণ করতে চায় না। এতে ব্যবসার অবস্থা ভালো না। কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছি না।
জার্মানিতে গত বছরে কোভিড নাইন্টিন শুরুর পর থেকে দেউলিয়া হয়েছে কমপক্ষে ১৭ হাজারেরও বেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, এই অবস্থায় করোনার সংক্রমণ ঠেকানো না গেলে দেউলিয়া হবে আরো অসংখ্য প্রতিষ্ঠান বলছেন অর্থনীতিবিদরা।