তাজা সংবাদ ডেস্ক : রবিবার দিনভর তীব্র গরমের পর বিকেলে ঝড় এবং হালকা বৃষ্টির দাপটে স্বস্তি পেলেন কুষ্টিয়াসহ বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ। বেশ কয়েকদিন সকাল থেকে তীব্র রোদ এবং গরমের দাপটে নাজেহাল হচ্ছিলেন মানুষ। কিন্তু আজ বিকেল গড়াতেই আকাশ কালো করে মেঘ আসে, সেই সঙ্গে ঝড়। বৃষ্টির পরই এক ধাক্কায় তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। স্বস্তি পান জেলাবাসী। ঝড়ের পর দীর্ঘক্ষণ শহরে বিদ্যুৎ ছিল না বিভিন্ন জায়গায়। ঝড় বৃষ্টিতে মৃত ৪জন।
নিহত হলেন, পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের মোস্তাফুর গ্রামের গোফফার (৪২), ডাকিরপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম ৫০, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিছমত হলদিয়া গ্রামের ছোলায়মান মিয়ার স্ত্রী ময়না বেগম (৬০), ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের গাফলামাড়ি গ্রামের বিটুল মিয়ার স্ত্রী শিমুলি বেগম (২৫)।
ঝড়ে বিভিন্ন সড়কে ভেঙে পড়া গাছ অপসারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি তারা।
আবহাওয়া অপেক্ষাকৃত নরম থাকার পর এদিন সকাল থেকে তীব্র রোদ এবং গরমের দাপট শুরু হয়। কিন্তু বিকেল গড়াতেই মেঘ আসে, সেই সঙ্গে ঝড়। এক পশলা মাঝারি বৃষ্টির পর জেলার তাপমাত্রা প্রায় ৬ ডিগ্রি কমে যায়। স্বস্তি পান জেলাবাসী। এদিকে বেশ কয়েকটি জেলায় ঝড় ও শিলা বৃষ্টির দাপটে বেশ কয়েকটি এলাকায় ভেঙে পড়ে গাছ। কয়েকটি জায়গায় কাঁচা বাড়ির চাল উড়ে গেছে। বিকেল থেকে বেশ কয়েক দফায় ঝড়–বৃষ্টির তাণ্ডব চলে। কালবৈশাখীর হাত ধরে এক ধাক্কায় অনেকটা তাপমাত্রা নামল বীরভূমে। সকাল থেকেই ৩৬ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই গরমে হাঁসফাঁস করার অবস্থা ছিল জেলার মানুষের।
তথ্যসূত্র: আলোক সেন, তুফান মণ্ডল ও অনুপম বন্দ্যোপাধ্যা