ক্রীড়া প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ার কলকাকলী স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে প্রতিদিনেই সাংবাদিকদের ক্রিকেট খেলা জমে উঠেছে। বাড়ছে প্লেয়ার, বাড়ছে দর্শক। অল্প সংখ্যক সাংবাদিকদের নিয়ে খেলা এই ক্রিকেট খেলা। এখন বিভিন্ন প্রিন্ট ও মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়ে এ খেলায় অংশ গ্রহণ করছেন। এতে সারাদিনের পর সাংবাদিকতার পেশায় পরিশ্রম শেষে বিকেলে এই খেলায় অংশগ্রহণ করায় আনন্দ পান সাংবাদিকবৃন্দরা। দুই টিম গঠন করে প্রতিদিন ক্রিকেট খেলা পরিচালনা হচ্ছে। এ খেলায় প্রতিটি দলকে নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়াই করতে আরো উৎসাহিত হচ্ছে। দুপুর পার হলেই খেলার মাঠগুলোতে দু’পাশে ষ্টাম পুতে রেখে । সারাদিনের ব্যস্ততা কাটিয়ে এ খেলায় মাতছেন সবাই। ছেলে-বুড়ো, তরুণ-তরুণী সবার কাছেই সমান জনপ্রিয় এই ক্রিকেট খেলা।
প্রতিদিন বিকেলে অফিস ফেরত কর্মজীবী মানুষ আর তরুণরা হাতে ব্যাট বল নিয়ে হাজির হন স্কুল মাঠে। যেখানে খেলার জন্য উপযুক্ত মাঠ নেই সেখানেও থেমে নেই খেলা।
দু’ দলে ভাগ হয়ে চলে ক্রিকেট খেলা। ২২ ব্যাট মেপে কোর্টে খেলা হয় এ খেলা। ছয় চার প্লেলিয়ার মারলেই শব্দে মুখরিত হয় চারপাশ। খেলাকে ঘিরে সৃষ্টি হয় টান টান উত্তেজনা। কোনো আনুষ্ঠানিক টুর্নামেন্ট নয়, তবু খেলা নিয়ে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার সামান্যতম কমতি নেই।
কেউ সমস্বরে রান গুনছেন, কেউবা সুযোগ পেয়ে সজোরে ‘চার ছক্কা’ বসিয়ে দিচ্ছেন বিপক্ষ দলের বলে। একসাথে ব্যাটে দুইজনের বেশি খেলতে পারে না বলে মাঠের চারপাশে খেলার অপেক্ষায় হাতে ব্যাট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে অন্যান্য খেলোয়াড়েরা। এখানে প্রতিনিয়ত খেলছেন আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার শেখ হাসান বেলাল, সময়ের দিগন্তের সম্পাদক নাহিদ হাসান তিতাস, এ টিন বাংলার জেলা প্রতিনিধি খন্দকার তুহিন, বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি রিয়াজুল ইসলাম, তাজা সংবাদের বার্তা সম্পাদক আরাফাত হোসেন, দৈনিক কুষ্টিয়ার স্টাফ রিপোটার ইমন, স্বাধীন, সময়ের দিগন্তের স্টাফ রিপোটার আল্লেক চাঁদ, সাগর, ডালিম, ক্যামেরাপারসন সম্রাট, কহিনুর, শুভ, তারেক সহ অনেকেই। এ খেলায় অংশগ্রহন করছেন। খেলা শেষে হয় হালকা পাতলার নাস্তার ব্যবস্থা। তোলা হয় মোবাইল সেলফি।