1. riajul.kst1@gmail.com : riajul :
  2. riajul.kst@gmail.com : riajul.kst@gmail.com :
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০২:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

মৌলভীবাজারে ধান শুকিয়ে হয়ে যাচ্ছে চিটা

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৫৭ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারে ধান শুকিয়ে হয়ে যাচ্ছে চিটা হয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় চিটার কবলে পড়েছে বোরো ধান। কয়েকশ’ বিঘা জমির বোরো ধান শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে।
গরম ঝড়ো হাওয়ায় ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ধানের থোড় বের হওয়ার পর এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের চিতলীয়া, জাঙ্গালিয়া, ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর, গুলেরহাওর, আদমপুর ইউনিয়ন, শমশেরনগর, মুন্সীবাজার ও পতনঊষার ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকাসহ উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বোরো ধানে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি বৃষ্টিপাত ছাড়া গরম ঝড়ো বাতাস দেওয়ার পর থেকে বোরো ধানের শীষ বের হওয়ার পর ধানের দুধ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। এভাবে জমির ধানক্ষেত ধীরে ধীরে সাদা হয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়ছেন।
শ্রীপুর এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম, পারভেজ মিয়া, আব্দুল বারী, সাঞ্জু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ধানের শিষ থেকে থোড় বের হওয়ার পর প্রথমে ধান কালো হয়ে লালচে রং ধারন করে পরে সাদা হয়ে যাচ্ছে। ধানের দুধ শুকিয়ে চিটা ধারণ করছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে আবাদি জমির বিস্তীর্ণ এলাকা ছড়িয়ে পড়ছে। এতে আমরা কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্তের আশঙ্কা করছি।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জে এ বছর ৪ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তবে আবহাওয়ার তারতথ্য জনিত কারণে সাধারণত দিনে গরম ও রাতে ঠাণ্ড এবং ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ব্যাকটেরিয়াল পেনিক্যাল ব্লাইড নামে ধানে আংশিক ক্ষতি হচ্ছে।
কমলগঞ্জে বোরো ধানে চিটার খবর পেয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী শুক্রবার বিকেলে উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিন উপজেলার চিতলীয়া, জাঙ্গালিয়াসহ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আলাউদ্দীন বলেন, সারাদেশেই অতিরিক্ত গরমের কারণে এটা হয়েছে। ধান যখন বের হওয়ার কথা, তখন ধানের পরাগায়ণ না হওয়ার কারণে ধান যথা সময়ে বের হয়নি। আমাদের কমলগঞ্জে কিছু জমিতে এমন সমস্যা হয়েছে। এটা শতভাগ নষ্ট না। ধরেন ১০-২০ পারসেন্ট বোরো ধানে চিটা হবে। আমাদের আক্রান্ত জমি হচ্ছে ৫ হেক্টর। এরমধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই ভালো আছে।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) ভোর রাতের আমাদের এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে এ সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে। তারপরও আমরা কৃষকদের জমিতে পানি রাখতে পরামর্শ দিয়েছি। তবে কৃষকরা ধান পাবে, চিন্তার কারণ নেই বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর ....

All rights reserved © 2020 tajasangbad.com
Design & Developed BY Anamul Rasel
x