আন্তজাতিক ডেস্ক : সাদা চাদরে ঢাকা মরদেহ। কিছু রোদের মধ্যে স্ট্রেচার পড়ে রয়েছে মর্গের বাইরে, কিছু রয়েছে মাটিতেই। মর্গে জায়গা না থাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া এই মানুষগুলোর দেহ এভাবে বাইরে পড়ে রয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, এই ছবি ভারতের ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতালের। যে ছবি প্রকাশ্যে আসতেই মুহূর্তে ভাইরাল হয় যায়। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশ কয়েকটি রাজ্যের মতো ছত্তিশগড়ের অবস্থাও বেসামাল। সেখানকার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে এই ছবি।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ছত্তিশগড়ে গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। দৈনিক মৃত্যুও বাড়েছে।
মহামারির শুরুর পর থেকেই রায়পুরের ভিমরাও অম্বেডকর মেমোরিয়াল হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, এই পরিস্থিতি এর আগে কখনো তৈরি হয় নি।
রায়পুরের প্রধান স্বাস্থ্য অফিসার মীরা বাঘেল বলেছেন, ‘একবারে এত মানুষের মৃত্যু হবে তা কেউ ভাবেনি। সাধারণত যা মৃত্যু হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ফ্রিজ রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ মৃত্যু ১০-২০ থেকে বেড়ে ৫০-৬০ ছাড়িয়ে গেছে। এত কম সময়ে এত মরদেহ রাখার ব্যবস্থা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় নি।’
শুধু হাসপাতালের বাইরে দেহ পড়ে থাকা নয়, শবদাহ নিয়েও সমস্যা দেখা দিচ্ছে ছত্তিশগড়ের বিভিন্ন শহরে। জানা গেছে, রায়পুর শহরে প্রতিদিন ৫৫টির বেশি মরদেহ দাহ করা হচ্ছে। যার মধ্যে অধিকাংশ করোনা রোগী।
এই সমস্যার মোকাবেলার জন্য সেখানকার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শহর এলাকায় দ্রুত বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রায়পুর, দুর্গ, বিলাসপুর, কোরবা, ভিলাই, রিসালি-এই শহরের পৌর কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির বিষয়টি দেখভালের জন্য