আরিফ, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শেয়ালা গ্রামে একটি শালিশী বৈঠকেই দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন শেহালা গ্রামের ছবের মন্ডলের ছেলে অভিরুল (৪৫), কাজী মুমিনের ছেলে তোফাজ্জেল (৬৬), তুফানের ছেলে রেন্টু মেম্বার (৪৫), আজিজুলের ছেলে মিরাজ (৪৫), ছবের মন্ডলের ছেলে আসাদুল (৪৫)। এদিকে একই এলাকার মৃত আমেজ উদ্দিনের ছেলে রানা (৪৭), আমেজ উদ্দিনের ছেলে আকরাম মালিথা, মৃত তারা চাঁনের ছেলে ইচাক (৬০), তারা চানের ছেলে কুদ্দুস (৫৭), আনোয়ারুন ছেলে পলাম (৪৩)।
স্থানীয়রা জানান, শেয়ালা গ্রামের শামীম হোসেন নামে একজন যবুককে চাকরি দেবার কথা বলে স্থানীয় পলাশ নামে অপরজনের কাছ থেকে টাকা নেয়। সেই টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ইউপি সদস্য রিন্টু হোসেন এর মাধ্যমে শালিশী বৈঠক বসে। সেখানে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে পলাশের লোকজন ইউপি সদস্যসহ অপর পক্ষের উপর হামলা করলে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দেশীয় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রিন্টুসহ মোট ১১ জন আহত হন। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
দৌলতপুর থানার ওসি জহুরুল আলম জানান, ঘটনার পর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।