দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় দৌলতপুরে পাওনা টাকা নিয়ে শালিসে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ইউপি সদস্য সহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের শেহালা গ্রামের জটুর ঘুনার বটতলায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় রেন্টু মেম্বার ও সাকের আলীকে রাজশাহীতে প্রেরণ করেছে চিকিৎসক। তবে তাদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শেহালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেহালা গ্রামের পলাশ শেহালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী দেওয়ার নাম করে একই এলাকার রাকিকুল, জামসেদ ও মাফুর কাছ থেকে সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা নেয়। চাকুরী দিতে না পারলেও পলাশ টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করে। টাকা না পেয়ে রাকিকুল, জামসেদ ও মাফু শেহালা গ্রামের ইউপি সদস্য রিন্টু মেম্বরের স্মরণাপন্ন হলে এ নিয়ে উভয়পক্ষ গতকাল শুক্রবার শেহালা গ্রামের জটুর ঘুনার বটতলায় শালিস বসে। শালিসে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পলাশ, পাশা, ইছাহক ও রানা ক্ষুব্ধ হয়ে রিন্টু মেম্বরের ওপর হামলা চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০-২৫জন লোকজন দেশীয় ধারাল অস্ত্রে সজ্বিত হয়ে একে অপরের ওপার হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। সংঘর্ষে রিন্টু মেম্বর (৩৫), আসাদুল (৪৫), ফাকু (৪৭), কিতাব (৪২), আনিসুর (৩৫) ও গেদা (৩৬) এবং পলাশ (৩৫), পাশা (৩২), ইছাহক (৪০), আকরাম (৩৫), রানা (৩০) ও খেজমত (৪০) আহত হলে তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) শাহাদত হোসেন জানান, শেহালা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহতরা কুষ্টিয়া হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে। থানায় দুই পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে দ্রুতভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে তিনি জানান।