মোঃ আরিফ হোসেন, কুষ্টিয়া : ‘প্রথম ডোজের ৫৬ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা। টিকার মজুত শেষ হলেও নির্ধারিত দিনে অনেকেই কেন্দ্রে আসেন। কেন্দ্রগুলোতে টিকা শেষ হওয়ার কার্যক্রম স্থগিত থাকার নোটিশ দেখে ফেরত যান।’
কুষ্টিয়ায় করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্য অবশিষ্ট ২২ হাজার জনের মধ্যে মাত্র ১ হাজার জনকে টিকে দেয়া হবে শনিবার। আরও ১ হাজার জন টিকা পাবেন পরবর্তী ১-২ দিনের মধ্যে।
চাহিদার বিপরীতে টিকা অনেক কম থাকায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় টিকাদান কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন। শুক্রবার সকালে জেলার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
নি জানান, কুষ্টিয়ায় করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৬৭ হাজার ৪৮৬ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৫ হাজার ৫১ জন। বাকি আছেন ২২ হাজার ৪৩৫ জন। তিনি আরও বলেন, ‘ভায়াল শেষ হয়ে যাওয়ায় কুষ্টিয়ায় ১১ মে করোনার টিকাদান বন্ধ হয়ে যায়। ওই দিন ৮২৭ জনকে টিকা দেয়ার পরই বন্ধ হয়ে যায় কার্যক্রম। টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে প্রাপ্তি সাপেক্ষে পুনরায় টিকা দেয়া হবে।’ জেলায় ৬৭ হাজার ৪৮৬ জনকে টিকা দেয়ার পর গত ২৪ এপ্রিল টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। চলছিল দ্বিতীয় ডোজ দেয়া। এরপর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট টিকা দেয়া বন্ধ করে দিলে কুষ্টিয়ায় মজুত শেষ হয়ে যায় ২ মে। সিভিল সার্জন আনোয়ারুল বলেন, ‘সে সময় অন্য জেলা থেকে আরও ৭ হাজার টিকার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও দেয়া হয় মাত্র ৫ হাজার ডোজ। শেষ পর্যন্ত টিকা দেয়া বন্ধ হয়ে যায় ১১ তারিখ সকালে।
প্রথম ডোজের ৫৬ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা। টিকার মজুত শেষ হলেও নির্ধারিত দিনে অনেকেই কেন্দ্রে আসেন। কেন্দ্রগুলোতে টিকা শেষ হওয়ার কার্যক্রম স্থগিত থাকার নোটিশ দেখে ফেরত যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন করে টিকা এসেছে মাত্র ২০০ ভায়াল। ঢাকা থেকে খুলনা বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কাছে আসে ৯০০ ভায়াল। সেখান থেকে কুষ্টিয়ার জন্য পাওয়া গেছে মাত্র ২০০ ভায়াল। এ দিয়ে ২০০০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে। এরই মধ্যে কুষ্টিয়া সদরে শনিবার ১০০০ জনকে টিকা দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে সিরিয়ালে যারা আগের দিকে আছেন, তারাই পাবেন। যারা এই টিকা পাবেন, তাদের নতুন করে মেসেজ দেয়া হবে। ‘দ্বিতীয় ডোজ পাননি এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। সে কারণে টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে বিশৃঙ্খলা হতে পারে। তাই পুলিশের সহায়তা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। কেন্দ্রে পুলিশের সহায়তা নিয়েই টিকা দেয়া হবে।’অবশিষ্টরাও অল্প কিছুদিনের মধ্যেই টিকা পাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন সিভিল সার্জন আনোয়ারুল।