সাংবাদিক আমিন হাসান : কুষ্টিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গা যাওয়ার পথে অটোরিকশা ভাড়া করতে এসে জনগণের হাতে ধরা খেলেন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ও বৃদ্ধ। পুলিশ এসে তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মডেল থানায় নিয়ে যান। আজ সন্ধ্যার দিকে মজমপুর শ্যামলী কাউন্টার এর পাশে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী দিনাজপুর থেকে চুয়াডাঙ্গার প্রেমিকের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী দিনাজপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা অনেক দূর পথ হওয়ায় পথে মধ্যে দিনাজপুরের এক অটোরিকশা চালককে টাকার বিনিময় ছাত্রীকে সঙ্গে করে চুয়াডাঙ্গাতে নিয়ে যেতে বলেন এ অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। এতে চালক রাজি হলে তারা বাসে করে দিনাজপুর থেকে কুষ্টিয়ায় আসেন সন্ধার দিকে। রাত অনেক হয় কুষ্টিয়া থেকে এক অটোরিকশাকে চুয়াডাঙ্গার যাওয়ার উদ্দেশ্যে ১০০০ টাকা ভাড়া করেন। এতে অটোরিকশাচালকের সন্দেহ হলে স্থানীয়দের ও পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ কাস্টডিতে নেন।
এ বিষয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী বাবা তাজা সংবাদকে জানান তার মেয়ের সকাল থেকেই নিখোঁজ। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি সন্ধান চলছে চলছে মাইকিং। আরো জানান অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া মেয়ে কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার কোন এক ছেলের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এবং ওই চুয়াডাঙ্গার প্রেমিক তার মেয়েকে ফুসলায় চুয়াডাঙ্গাতে আসার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বির তাজা সংবাদকে জানান ঘটনার বিষয়ে আমরা অবহিত হয়েছি। দু জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে রেখেছি থানায় এবং তাদের পরিবার থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর দেয়া হয়েছে তারা আসলে বিষয়টি আরো ভালোভাবে জানা যাবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।