আন্তজাতিক ডেস্ক : ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ক্লাসরুমে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে স্কুল খুলছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির স্কুলগুলো খুলে দিতে নতুন একটি ব্যবস্থার অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
জাকার্তা গ্লোব জানায়, আগামী জুলাইয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীরা স্কুলে ফিরতে পারবেন।
সোমবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন জানান, প্রতিটি ক্লাসে মোট শিক্ষার্থীর ২৫ শতাংশকে ক্লাসরুমে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে দুদিন স্কুলে আসবে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সশরীরে ক্লাসরুমে উপস্থিত হওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা মেনে চলতে হবে। শ্রেণীকক্ষ কার্যক্রম প্রতিদিন মাত্র দুই ঘণ্টা চলবে।’
স্কুল পুনরায় চালু করার জন্য সব শিক্ষক ও স্কুলের কর্মীদের দুই ডোজই টিকা দেওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন বলেন, ‘আমরা আঞ্চলিক নেতা, যাদের কাছে টিকা সরবরাহ করা হয়, তাদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানাই। সশরীরে স্কুলে উপস্থিত হয়ে পড়াশোনা বাধ্যতামূলক নয়, অভিভাবকরা চাইলে এখনো অনলাইনে সন্তানের পড়াশোনা করাতে পারেন।’
গত বছরের মাঝামাঝিতে ইন্দোনেশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে মহামারি দেখা দেওয়ার পর থেকে স্কুলগুলো বন্ধ রয়েছে।
ইন্দোনেশিয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের (কেপিএআই) চেয়ারম্যান রেতনো লিস্টিয়ার্টি জানান, প্রতিটি জেলাকে অবশ্যই তাদের অঞ্চলে কোভিড-১৯ সংক্রমণের তীব্রতার বিষয়ে সৎভাবে জানাতে হবে।
কোভিড-১৯ পরীক্ষার সংখ্যা ও শনাক্তের অনুপাতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেসব জেলায় শনাক্তের হার দশ শতাংশের বেশি সেখানে সশরীরে স্কুলের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।’
কেপিএআই’র জরিপ অনুযায়ী, ৭৯ দশমিক ৫ শতাংশ স্কুল সশরীরে ক্লাস শুরুর জন্য প্রস্তুত। জাকার্তা, পশ্চিম জাভা, সেন্ট্রাল জাভা, পূর্ব জাভা, রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জ, পশ্চিম কালিমন্তান ও বাতেনেসহ সাতটি প্রদেশের ৪২টি স্কুল নিয়ে এই জরিপটি করা হয়েছে।