আরিফ, কুষ্টিয়া : সীমান্তবর্তী জেলা কুষ্টিয়ায় ৭দিনের কঠোর লকডাউনের ৬ষ্ট দিন চলছে। পিসিআর ল্যাব ও জেলা সিভিল সার্জনের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ২২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ৭৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সনাক্তের হার ৩৫ শতাংশ। শেষ ২৪ ঘন্টায় জেলায় আরো ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল গতকাল শুক্রবার থেকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল নামে যাত্রা শুরু করেছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল হিসেবে এখনও প্রজ্ঞাপন জারি না হলেও শুক্রবার থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে। এখনও কিছু কাজ বাকি আছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘২০০ শয্যাকে করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে বাকিগুলোও করা হবে।’
কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ ২০০ সিলিন্ডার অক্সিজেন দিয়েছেন। তা ছাড়া আগেরও ৪০০ সিলিন্ডার অক্সিজেন মজুত আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কমিউনিটি পর্যায়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। হাসপাতালের অন্য রোগীদের কুষ্টিয়া ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও আদ-দ্বীন হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
লকডাউন কার্যকর করার জন্য পুলিশ শহরের বিভিন্ন প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট বসিয়েছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করছেন।
উল্লেখ্য, অস্বাভাবিক হারে করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা কুষ্টিয়ায় ২০জুন মধ্যেরাত থেকে ২৭জুন মধ্যেরাত পর্যন্ত ৭দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষনা করে গণবিজ্ঞপ্তি দেয় জেলা প্রশাসন।