কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় ভুয়া পে-অর্ডার দিয়ে সড়ক বিভাগের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সেতুর টোল আদায়ের ইজারার জামানত হিসেবে ওই টাকার পে অর্ডার দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। ইজারার মেয়াদ শেষে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ওই পে-অর্ডার ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় ক্যাশ করতে গেলে এই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও সড়ক জনপথ বিভাগ কেউই এ ঘটনার দায় নিতে চাইছে না। তারা একে অপরকে দোষারোপ করছে।
২০১৯ সালে কুষ্টিয়ার লাহীনিপাড়া এলাকায় গড়াই নদীর ওপরের এই সড়ক সেতুর টোল আদায়ের ইজারা পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দৃষ্টি এন্টারপ্রাইজ। শুরুতেই দুটি পে অর্ডারে আড়াই কোটি জামানত নেয় সড়ক বিভাগ। এ বছর ২৮জুন ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ায় গতকাল সোমবার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ ওই পে-অর্ডার দুটো সাউথইস্ট ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখায় ভাঙাতে গিয়ে জানতে পারে এগুলো জাল। এ ঘটনায় এখন একে অপরকে দুষছে সংশ্লিষ্টরা। কেউ দায় নিতে চাইছে না এ বিপুল অর্থ আত্মসাতের। তবে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, সরকারের এই টাকা উদ্ধারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।
কুষ্টিয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম তাজা সংবাদকে জানান তবে ঠিকাদার বলছেন, জামানতের দুটিসহ মোট ছয়টি পে-অর্ডারই সড়ক বিভাগ যাচাই করে নিয়েছিল। সেসময় ব্যাংক থেকে পে অর্ডারগুলো সঠিক বলে সনদও দিয়েছিল।
কুষ্টিয়া সাউথউস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সোহেল রানা তাজা সংবাদকে জানান দৃষ্টি এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী হালিমুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান সাউথইস্ট ব্যাংক অবশ্য বলছেন তৎকালীন ব্যবস্থাপক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন- একে অপরের সঙ্গে যোগ সাজস ছাড়া এ ধরণের আর্থিক দুর্নীতি সম্ভব নয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তারা।