উজ্জ্বল, কুষ্টিয়া : কয়েকদিন পরই মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানি হবে হাজার হাজার গরু, ছাগল, উট। বাংলাদেশের সব জেলায় বসছে গরু-ছাগলের হাট। শহর ও গ্রামের হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ট্রলারে, ট্রাকে করে আসতে শুরু করেছে ছোট-বড় নানা রকমের, নানা রঙ্গের গরু-ছাগল। আর এই কোরবানির পশুগুলোকে জবাই ও গোস্ত কাটতে সবচেয়ে বেশি দরকারি হলো ছুড়ি, চাপাতি, বটি। কুষ্টিয়া আলামপুর, কুমারখালীসহ বিভিন্ন এলাকার কামার পাড়াগুলো ঘুরে দেখা যায় তাদের ব্যস্ততা।
বছরের অন্যান্য সময় অবসরে কাটালেও কোরবানি ঈদের মাস কয়েক আগে থেকে শুরু হয় তাদের দা, বটি, ছুড়ি, রামদা বানানোর প্রস্তুতি। শহরের লোহার বাজার থেকে লোহার পাত কিনে এনে সাইজ করে কাটা হয়। সাইজ করা কাটা পাতগুলো আগুনের লেলিহান শিখায় গরম করে তা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ছুড়ি, চাপাতি, বটি, দা বানানো হচ্ছে। দা, ছুরি, রামদা, বটিগুলো বানিয়ে দোকানগুলোতে বিক্রির জন্য সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
চাপাতি কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, প্রতি বছরই আমাদের নতুন করে এসব কিনতে হয়। কারণ আমরা নিজেদের গরু নিজেরাই কোরবানি করি। এটা একটা আলাদা আনন্দ।
মালিক শ্রমিকরা জানান, সারাবছর আমাদের টুকটাক বেচাকেনা করে চলতে হয়। আমরা এই কোরবানির ঈদের অপেক্ষায় থাকি। আর এটার ওপর ভরসা করেই সারাবছর খেয়ে না খেয়ে পরিবার নিয়ে চলতে হয়। এই করোনাকালে আমরা না পেলাম সরকারি সহায়তা, না নিলো আমাদের খোঁজ খবর। আমরা কারও কাছে হাত পাততেও জানি না।