এস,আর শরিফুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট : লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের হীরা-মানিক গ্রামে বড় ভাইয়ের অস্ত্রের আঘাতে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী খাদিজা ৩০)গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালেলে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যুর সংগে পাঞ্জা লড়ছেন।
আহত খাদিজা বেগম এর স্বামী তহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন আমার জমিতে লাগানো একটি মেহগনি গাছ আছে । সেই মেহগনি গাছ টি আমার বড় ভাই লতিফুল ইসলাম লিটন (সেনা সদস্য ) বেশ কিছুদিন ধরে কাটার অপচেষ্টা করিয়া আসিতেছে। এতে আমি বাধা দিলে আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয়।এবং পবিত্র ঈদ-উল আযাহা উপলক্ষে আমার বড়ভাই ছুটিতে বাড়ীতে আসেন। আসার পরপরেই উক্ত ঝগড়া বিবাদের ধারাবাহিকতায় গত ১৭-০৭-২০২১ তারিখে আনুমানিক রাত ৮.৩০ ঘটিকার সময় আমার বড় ভাই লতিফুল ইসলাম লিটন (সেনা সদস্য) ও তার স্ত্রী শামীমা আক্তার আমার বসত বাড়ির বাহির উঠানে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। ঐ সময় আমার স্ত্রী খাদিজা বেগম ঘরের ভেতর হইতে বাহির হয়ে তাদেরকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করে। এমতাঅবস্থায় আমার স্ত্রী খাদিজা বেগম এর সঙ্গে আমার বড় ভাই লতিফুল ইসলাম লিটন ও তার স্ত্রী শামীমা আক্তার এর সঙ্গে কিছু কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু এক সময় আমার বড় ভাই লতিফুল ইসলাম লিটন(সেনা সদস্য )চড়াও হয়ে দৌড় দিয়ে ঘরে গিয়ে একটি ধারালো ছুরি হাতে নিয়ে আসে,এবং তা দিয়ে আমার স্ত্রীর মাথায় সজোরে আঘাত করে, আঘাত করার সাথে সাথেই আমার স্ত্রী খাদিজা বেগম রক্তাত্ব ও জখম হন।এবং সংগে সংগেই আমার স্ত্রী খাদিজা বেগম মাটির মধ্যে লুটিয়ে পড়ে এবং বাচাঁও বাচাও বলে চিৎকার করিতে থাকে তখন আমি আমার স্ত্রীর চিৎকারে তাকে বাচাঁনোর জন্য দৌড়ে আসি।আসা মাত্র আমার বড়ভাই লিটন (সেনা সদস্য) সহ আরো ৪/৫ জন আমাকে ঘিরিয়া ফেলে৷ এবং আমাকে এলোপাতারি ডাংমাইর করিতে থাকে। তখন আমি চিৎকার করিলে আশেপাশের লোকজন এসে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে তাদের হাত হইতে উদ্ধার করে। আমি সাময়িক অসুস্হ্য হলেও স্ত্রীর প্রান বাচাঁনোর তাগিতে আমি আমার রক্তাক্ত স্ত্রীকে খুব তাড়াতাড়ি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই।এবং সদর সাতপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আমার স্ত্রীর অবস্থা আসংখা জনক দেখিয়া দ্রুত তাকে ভর্তি করিয়া নেন।আমার স্ত্রী বর্তসানে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। আমার স্ত্রীর সাময়িক চিকিৎসা করার পর আজ ১৯ জুলাই দুপুরে লালমনিরহাট সদর থানায় আসিয়া আমার বড়ভাই লিটন (সেনা সদস্য) সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একখানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করি যাহাতে আমার স্ত্রী খাদিজা বেগম নিজেই বাদি হন।
অভিযোগ খানা পেয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাআলম বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পুর্বক ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আসামি যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।