1. riajul.kst1@gmail.com : riajul :
  2. riajul.kst@gmail.com : riajul.kst@gmail.com :
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

স্ত্রীর বালিশ চাপায় স্বামীর মৃত্যু, ১১ দিন পর মরদেহ উত্তোলন

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১
  • ২৮৯ বার নিউজটি পড়া হয়েছে

এস,আর শরিফুল ইসলাম রতন , লালমনিরহাট : অবশেষে জলিল হত্যার জট খুলেছে। তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে পরকীয়া প্রেমিক রব্বানী ও প্রেমিকা মৃত আব্দুর জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম।

ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাতে তাদের আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে।

গত ২২ জুলাই রাতে লালমনিরহাট পৌসভার ৯ নং ওয়ার্ডের মাঝাপাড়া এলাকার কাচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলের মৃত্য হয়। পরদিন সকালে জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম প্রতিবেশিদের বলেন, তার স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছেন। পরে মমিনা বেগমের বাবার বাড়ির লোকজন পুলিশকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে জানাজা শেষে লাশ দাফন করেন। ২৪ জুলাই বিকেলে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে বাড়িতে মিলাদ মাহফিলও করা হয়। ওই মিলাদ মাহফিলে মরহুমের স্ত্রী ও মরহুমের বড় ভাই আব্দুর রশিদের সাথে কথা কাটা কাটি হয়।

জলিলের স্ত্রীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে মরহুমের বড় ভাই আব্দুর রশিদ ২৫ জুলাই লালমনিরহাট পুলিশ সুপার ও সদর থানা পুলিশ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ আমলে নিয়ে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ- সার্কেল) মারুফা জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থালে যান এবং কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। রাতে সেখানে মমিনা ও রব্বানী জলিলকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। তাদের দু’জনের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক থাকার কারনেই ওই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে জানায়। পরে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ- সার্কেল) মারুফা জামান মমিনাকে সাথে নিয়ে তার বাড়িতে এসে হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন।এ হত্যা কান্ডে দুইজন জড়িত থাকায় মমিনা আর রব্বানীকে গ্রেফতার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।

পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার(১আগস্ট) শহরে সাপটানা কবরস্থানে দাফন হওয়ার ১১ দিন পর পরকিয়ার বলি জলিলের মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ।

এ বিষয়ে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তদন্তে নামে পুলিশ।অভিযোগের ভিত্তিতেই স্ত্রী মমিনা ও পরকিয়া প্রেমিক রব্বানীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। লাশ উত্তোলন বিষয়ে তিনি বলেন এটি তদন্তেরই একটি আইনী প্রক্রিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর ....

All rights reserved © 2020 tajasangbad.com
Design & Developed BY Anamul Rasel
x
error: Content is protected !!