এনামুল হক ইমন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই খণ্ডকালীন লকডাউনে সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবীকা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দিনমজুর শ্রেণীর মানুষগুলো আছেন সবথেকে বিপাকে। তেমনি লকডাউনে নরসুন্দরের কাজে নিয়োজিত মানুষগুলো আছেন অনেক সমস্যায়। মঙ্গলবার বিভিন্ন সেলুনে গিয়ে সামনে বসে থাকা নরসুন্দরদের সাথে কথা বললে তারা জানান সরকারী প্রণোদনা এখনো পর্যন্ত পৌঁছেনি তাদের কাছে।
উপজেলার কাজীপাড়া মোড়ের সেলুন মালিক উজ্জ্বল কুমার প্রামানিক জানান, কুমারখালী পৌরসভার মধ্যে প্রায় ৭০ টি সেলুন রয়েছে এবং সেলুন গুলোতে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ১৫০ জন। করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি কোন সরকারি প্রণোদনা পাননি। শুধুমাত্র ২০২০ সালের শেষের দিকে মোবাইলে একবার ২ হাজার ৫ শত টাকা পেয়েছিলেন। তিনি বলেন তার সংসারে প্রতিদিন আড়াই কেজি চাল লাগে। বর্তমানে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন চলছে দোকান খুলতে পারছেননা। দোকানের সামনে বসে থেকে সুযোগ বুঝে দু একজনের সেভ অথবা চুল কাটতে গেলেও আতংকে থাকতে হয়। কখন প্রশাসনের লোক এসে জরিমানা করে দেয়। কিন্তু পেট তো লকডাউন মানেনা সংসারে খাবারের লোকের অভাব নেই। অভাব রয়েছে রোজগারের। এমনি করে বিল্লাল, ভগো, সুরঞ্জন, জয়দেব, উৎপল, হবিবর ও আসাদ সহ অনেকেই তাদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতান কুমার মন্ডলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ইতিমধ্যে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। নরসুন্দরদের নিয়ে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। নতুন করে কিছু বরাদ্দ এসেছে। খুব শীঘ্রই তাদের কাছে সরকারি প্রণোদনা পৌঁছে দেয়া হবে।